চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের হাজীগঞ্জে সিএনজি স্কুটার ও বালুবাহী খালি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত হয়েছেন। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, সোমবার (৬ মে) দুপুরে হাজীগঞ্জের গোগরা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর ইউনিয়নের পয়ালযোশ মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা আবু তাহের (৫৫) এবং তার ছেলে মামুন (২৫)। পেশায় গরুর ব্যবসায়ী এই বাবা ছেলে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ব্যবসার কাজে হাজীগঞ্জে আসার পথে ওই স্থানে সিএনজি চালিত স্কুটার ও বালিবাহী খালি ট্রাকের সাথে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় আহত সিএনজি স্কুটারের চালকসহ অপর তিন যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল ও ইভান জানান, চারদিকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এমন সময় হাজীগঞ্জমুখী সিএনজি চালিত স্কুটারটিকে চাঁদপুরগামী ট্রাকটি প্রচন্ডবেগে আঘাত করে। এতে করে সিএনজি চালিত স্কুটারটি সড়কের পাশের একটি রেইনট্রি গাছের সাথে সজোরে লেগে মুহুর্তে চূর্নবিচূর্ন হয়ে যাত্রীরা ছিটকে পড়ে। গাড়ির শব্দ শুনে বৃষ্টির মধ্যে আমরা দৌড়ে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করতে গিয়ে দেখি দু'জন সাথে সাথে মারা গেছে। অপর যাত্রীদেরকে উদ্ধার করে চাঁদপুর পাঠিয়ে দেই। আহতদের একজনের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে দেখেছি। তারা আরো জানান, নিহত একজনের কাছে অনেকগুলো টাকা পেয়েছি যা পরে আমি মিজান চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছি। বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন জানান, আমি বৃষ্টির মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে দেখি দুটি লাশ আর একটি সিএনজি স্কুটার সড়কের পাশে পড়ে আছে। তখনই আমি পুলিশকে খবর দেই। অপর এক প্রশ্নে মিজানুর রহমান জানান, নিহত একজনের কাছে একটি মোবাইল পাওয়া গেছে যা দুর্ঘটনার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। সেটি থেকে সিম খুলে অন্য একটি মোবাইলে ডুকিয়ে ফোনের মাধ্যমে নিহতের সনাক্ত করেছি। নিহত ব্যক্তির কিছু টাকা উদ্ধারকারীরা আমার কাছে দিয়েছে। হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আবু জাফর জানান, আমরা ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করেছি।