সোনারগাঁয়ের মেঘনা শিল্পনগরী এলাকায় এক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে ছয়দিন আটকে রেখে কার্ভাডভ্যান চালক ও হেলপারকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০আগস্ট সন্ধ্যায় আর কে লজিষ্ট্রিক এন কার্গো সার্ভিসের মাধ্যমে চট্রগ্রাম কাঠঘর এলাকা থেকে কেমিক্যাল বোঝাই একটি কাভার্টভ্যান (চট্রো মেট্রো-ট-১১-৮৯৮২) আল মোস্তফা গ্রুপের ফ্যাক্টরীর কেমিক্যালের চালান বুঝিয়ে না দিয়ে অন্য আর একটি চালান দিয়ে তাদেরকে মালামাল পৌছানোর জন্য পাঠিয়ে দেয়। পরে ২১ আগস্ট বুধবার দুপুরে মেঘনা ঘাটের ইসলামপুর এলাকায় আল-মোস্তাফা ফ্যাক্টরিতে কেমিক্যাল নামানোর পরে গাড়ী চালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও হেলপার শহিদ আলম গাড়ী ভাড়ার জন্য কারখানার ভিতরে গেলে তাদের সিকিউরিটি রুমে আটকিয়ে রেখে তিন লাখ টাকার মালামাল চুরি করার অভিযোগ এনে কোম্পানীর পরিচালক ইকবাল হোসেনের সহযোগীতায় আবুল হোসেন, মিজানুর রহমান, এহিজার রহমান, কামাল হোসেন তাদেরকে বেধে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে তিন লাখ টাকা দাবী করে। কোম্পানীর পরিচালক ইকবাল হেসেন তাদেরকে জানায় তিন লাখ টাকা দিলে তাদের ছেড়ে েিদয়া হবে। কিন্ত চালক ও হেলপার তাদের দাবী কৃত টাকা না দেওয়ায় তাদেরকে একটি রুমে ৬দিন আটকে রেখে নির্যাতন করতে থাকে বলে অভিযোগে জানাযায়। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে তাদেরকে রসি দিয়ে বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কার্ভাডভ্যান চালক বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।
গাড়ী চালক আব্দুল্লাহ আল মামুন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার বীজতলা গ্রামের সাইদুল হকের ছেলে আর গাড়ীর হেলপার শহিদ আলম নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জের করালিয়া গ্রামে মৃত সফিউল্লাহর ছেলে।
এব্যাপরে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, কার্ভাডভ্যান চালক ও হেলপারকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে ।