জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় ডাক্তার-নার্স ও জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। জনবল এর অভাবে বন্ধ রয়েছে অপারেশন এর সকল প্রকার কার্যক্রম। এতে করে ভীষন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। তাই নদী ভাঙ্গা বন্যাকবলিত এলাকার মানুষরা কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বাইরের ক্লিনিক গুলোতে যেতে ব্যাধ্য হচ্ছেন।
দেওয়ানগঞ্জ হাসপাতাল সূত্র জানায়, দেওয়ানগঞ্জের প্রায় তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়াতে বিগত ২০০৮ সালে ৩১ শয্যা থেকে বাড়িয়ে ৫০ শয্যায় উত্তীর্ণ করা হয়। কিন্তু গত ১১ বছর পেরোলেও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছেনা রোগিদের।
জানাযায়, ৫০ শয্যার হাসপাতালে যে পরিমান চিকিৎসক ও লোকবল থাকার কথা সেখানেও অর্ধেকের বেশি পদ শূণ্য রয়েছে। এ হাসপাতালে বর্তমানে ১৮ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে রয়েছে মাত্র ৪ জন চিকিৎসক এবং ২৬ জন নার্সের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ২৩ জন নার্স। এনেস্থেসিয়ার ডাক্তার না থাকায় সেখানে বন্ধ রয়েছে প্রসুতিদের সিজার অপারেশনসহ সকল প্রকার অপারেশন কার্যক্রম। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় বন্ধ রয়েছে এক্স-রে ও আলট্রাসোনোগ্রাফি মেশিন। অনেক দিন যাবৎ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে ইসিজি মেশিনটিও।
এছাড়াও হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স ও অন্যন্যা জিনিস পত্রের নামে টাকা বরাদ্ধ হলেও কোন কাজে আসছেন না রোগিদের। ফলে রোগ নির্ণয়ের জন্য অসহায় রোগীদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হচ্ছে। তাই সরকারী হাসপাতালে কাঙ্খিত স্বাস্থ্য সেবা না পেয়ে হতাশায় রয়েছেন এলাকার নদী ভাঙ্গা -বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ।
এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ হাসপাতালে ভতিকৃত রুগী মোঃ আবু হানিফা, মোঃ শাহজাহান মিয়া, শেক আবদুর রহমান, মো: কাউসার আহমেদ, শিল্পি বেগম, শেফালি আক্তার, ও নাজনীন আক্তার তারা সবাই জানান, দেওয়ানগঞ্জ হাসপাতালে লোকোবল সংকটে আমরা ঠিকমত চিকিৎসা পাচ্ছিনা। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে বাইরের বেসরকারী ক্লিনিক কিংবা জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল অথবা ময়মনসিংহ মেড়িকেল কলেজ হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তাই জনবল নিয়োগের মাধ্যমে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান দ্রুত বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন এলাকার দরিদ্র মানুষ।
অপরদিকে এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সৈয়দ আবু আহাম্মদ শাফী তিনি নানা সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, এ হাসপাতালে এখন ১৮ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে রয়েছে মাত্র ৪ জন চিকিৎসক এবং ২৬ জন নার্সের বিপরীতে কর্মরত রছেছেন ২৩ জন নার্স। তাই জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার পরও রোগিদের সাধ্য অনুয়ায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেছেন।