জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরধরে জেলার গৌরনদী উপজেলার দুই স্থানে পৃথক হামলায় নারীসহ নয় জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পৃথকভাবে সোমবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় উপজেলার শরিফাবাদ ও বাসুদেবপাড়া গ্রামে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরিফাবাদ গ্রামের শাজাহান মোল্লার স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, তাদের বসতবাড়ির তিন শতক জমি গোপনে রেকর্ড করে নিয়ে যায় একই বাড়ির সেলিম মোল্লা। সোমবার বিকেলে ওই জমিতে বেড়া দিতে যায় সেলিম মোল্লা। এতে বাধা দিলে সেলিম মোল্লার পক্ষ হয়ে পুত্র হারুন মোল্লা তার উপর হামলা চালায়। মায়ের উপর হামলার খবর শুনে আরেক পুত্র বেল্লাল মোল্লা এগিয়ে আসলে সেলিম মোল্লার নেতৃত্বে বেল্লালকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। হামলা ঠেকাতে গিয়ে সুখি আক্তার, হালিমা বেগম, ময়না বেগম, মুকুল বেগমসহ মোট পাঁচজন আহত হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাসুদেবপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদ সরদার জানান, বাসুদেবপাড়া মৌজায় তার দলিল ও রেকর্ডকৃত ৩০ শতক জমি গত চারবছর যাবত স্থানীয় ছত্তার সরদার গংরা জোরপূর্বক জমি দখল করে আসছে। এঘটনার সূত্রধরে সোমবার সন্ধ্যায় বাসুদেবপাড়া গ্রামের মধ্যে একটি চায়ের দোকানের সামনে ছত্তার সরদারের নেতৃত্বে সরোয়ার সরদার, সাইদুল সরদার, লিটন সরদার ও রুস্তুম সরদার দেশীয় অ¯্র নিয়ে প্রথমে রশিদ সরদারের পুত্র সুমন সরদারকে কুপিয়ে জখম করে। পুত্রকে মারধরের খবর শুনে পিতা রশিদ সরদার, মা শাহানাজ বেগম ও বোন জামাতা শাকিল সরদার এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগ অস্বীকার করে সরোয়ার সরদার জানান, ঘটনার দিন তিনি সাকুরা পরিবহনে কর্মরত ছিলেন অথচ তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গত ২৬ বছর পূর্বে ওই জমি তার দাদা তাদের নামে দলিল দিয়ে গেছেন। কোন বিচার ব্যবস্থার তোয়াক্কা না করেই অভিযোগকারী রশিদ সরদার জোরপূর্বক তাদের জমি দখল করতে চাইছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।