ফরিদপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে আমন ধানের চারা বিতরণ করেছে কৃষিবিভাগ। বিনা মূল্যে চারা পেয়ে খুশি চাষিরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণে জন্য ৫ একর জমিতে ধানের চারা উৎপাদন করা হয়েছিল। সেই চারা আজ চাষিদের মাছে বিতরণ করা হল।
চলতি বছর ফরিদপুর জেলার পদ্মা নদী সংলগ্ন সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর, আলিয়াবাদ ইউনিয়ন ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের মাঝে বিনা মূল্যে আমন ধানের চারা বিতরণ করা হয়েছে। বিনামূল্যে চারা পেয়ে খুশি চাষিরা। বুধবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আমন ধানের চারা বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আবদুর রাজ্জাক মোল্যা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা, ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃসিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রর্বী, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার মিয়া, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বুধবার ১২০জন কৃষক ও কৃষানীর মাঝে নাবি জাতের বিনাশাইল ও নাইজারশাইল জাতের ধানের চারা বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায় ক্রমে আরো দুইশত জন চাষির মাঝে বিনামূল্যে ধানের চারা বিতরণ করা হয়। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায় চলতি মৌসুমে ৬৮হাজার ৯২৫ হেক্টোর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে।
চাষিরা বলেন, বন্যায় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আজ আমরা বিনামূল্যে ধানের চারা পেয়েছি। ধানের চারা পেয়ে আমরা খুশি।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, চলতি বছরের বন্যায় চাষিদের আমন ধানের ক্ষয়-ক্ষতি পুশিয়ে নেওয়ার লক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে আপত কালিন নাবি আমন জাতের ৫একর চারা উৎপাদন করা হয়েছিল। সেই চারা আজ বিতরণ করা হলো। সদর উপজেলার ১২০জন কৃষককে প্রত্যেকে এক বিঘা জমি চাষের জন্য চারা দেওয়া হয়েছে। ফলে এবছর আমনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, কৃষক উপকৃত হবে।