গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বহুল আলোচিত আদিবাসি সাঁওতাল হত্যার মূল ১১ জন আসামীকে বাদ দিয়ে এবং আসামীকে মামলার স্বাক্ষী করে গাইবান্ধা পিবিআই পুলিশ কর্তৃক বিজ্ঞ আদালতে চাজশীট দাখিল করায় বাদী পক্ষ বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে আদালতে নারাজি দায়ের করেছেন।
গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ( চৌকি) পার্থ ভদ্র এর বিজ্ঞ আদালতে ৪ ঠা সেপ্টেম্বর বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড শাকিল এই নারাজি দায়ের করেন। এতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এ্যাড. জেড আই খাঁন পান্না, এ্যাড. রকিবুল হাসান সিরাজী, এ্যাড. মুরাদুজ্জামান রব্বানী, গাইবান্ধা বার অ্যাসোসিয়েশন এর বিজ্ঞ আইনজীবী এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু।
বিজ্ঞ আদালত বাদী পক্ষের নারাজি আমলে নিয়ে আগামি ৪ ঠা নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য্য করেন। আদালত থেকে বের হয়ে গোবিন্দগঞ্জ বার অ্যাসোসিয়েশনের সামনে বাদী পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী এ্যাড. জেড আই খাঁন পান্না,সাংবাদিকের বিফ্রিংকালে বলেন, আদিবাসি সাঁওতাল হত্যায় পিবিআই দীর্ঘ ৭ মাস তদন্ত করে মামলার প্রধান মূল ১১ জন আসামীকে বাদ দেয়া হয়েছে চার্জশীট আদালতে দাখিল করেছেন। এখানে হত্যা কান্ডের ১৫ মাস পর লাশ তোলা হয়েছে ময়না তদন্ত করার জন্য। এরপরও পিবিআই মামলার আসামীকে স্বাক্ষী বানিয়েছে। তৎকালিন সময়ে এখানকার চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিভাগীয় তদন্ত করেছেন। সে রির্পোটেও বেরিয়ে এসেছে কারা বাড়ীঘরে আগুন লাগিয়েছে। আমরা বিজ্ঞ আদালতে এসব তুলে ধরেছি। বিজ্ঞ আদালত বিচক্ষনের সহিত আমাদের কথাগুলো শুনেছেন।
নারাজী শেষে দুপুর ২ টার দিকে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা.ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে পৌরসভার শহিদ মিনার চত্তরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ঐক্যন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পঙ্কজ ভূট্টাচার্জ্জ, সিপিবি গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি মিহির ঘোষ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সিপিবি সভাপতি তাজুল ইসলাম প্রধান, ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাফুরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মুরমু প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত ৫ নভেম্বর /২০১৬ সালে সকাল ১১টায় ্ইক্ষু খামারে মিল কর্তৃপক্ষ আখ কাটতে গেলে শ্রমিক সাঁওতাল সংঘর্ষে ১০ পুলিশসহ কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হলে স্থানীয় প্রশাসন সহ মিল কর্তৃ পক্ষ সে দিনই সন্ধ্যার পূর্ব মর্হুতে প্রায় দেড় হাজার পুলিশ ,চিনি কল শ্রমিক ও জনতা যৌথ ভাবে ইক্ষু খামার এলাকায় আদিবাসী পল্লীতে উ”্ছেেদর নামে তান্ডব চালায় এবং পুলিশের গুলিতে অকালে ৩ জনের প্রান ঝড়ে যায়। নিহতরা হলেন মঙ্গল র্মাড্ডি(৩৫),শ্যামল হেমরম (৫৫),রমেশ টুডু(৫০)।