বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন ৪০০ যানবাহনে মামলা দিয়েছে পুলিশ। মহাসড়কে সিএনজি, ইজিবাইক, নসিমন, অটোভ্যানসহ সব ধরণের থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচলের চেষ্টা করলেই পুলিশের ফাঁদে পড়ে আটকের পর মামলা হচ্ছে।
প্রতিদিনই বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে অভিযান চালাচ্ছে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ। এদিকে সিএনজি, ইজিবাইকসহ ৪০০ যানবাহনে মামলা দায়ের করায় চালকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসিয়ে গত একমাসে ৪০০ টি যানবাহনে মামলা দিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বাস, ট্রাক, পিকআপ, সিএনজি, ইজিবাইক সহ অন্যান্য যানবাহন। এ ছাড়া ১১৫ টি যানবাহন আটক করে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ কাজল কুমার নন্দী মুঠোফোনে ৪০০ টি যানবাহনে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ বলছে, মানুষ আইন ভাঙছে। পুলিশও মামলা দিচ্ছেন। মানুষ সচেতন হলে মামলার সংখ্যা কমে আসবে। মামলা দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে পুলিশ। পথচারী ও যানবাহনের চালকদের উদ্দেশে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মোটরসাইকেলের চালকের হেলমেট থাকলেও আরোহীর হেলমেট নেই। এসব ক্ষেত্রে আরোহীর জন্য হেলমেট রাখতে সতর্ক করার পাশাপাশি মামলা দিচ্ছে পুলিশ।
সিএনজি চালক রাজু আহম্মেদ জানান, নন্দীগ্রাম থেকে বগুড়ার শাকপালা পর্যন্ত মহাড়কে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ধরা খেলেই দেওয়া হচ্ছে মামলা, আটকানো হচ্ছে সিএনজি। আঞ্চলিক সড়কে ভাড়া কম হওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি।
কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাজল কুমার নন্দী বলেন, গত একমাসে ৪০০ যানবাহনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া ১১৫ টি যানবাহন আটক করে রাখা হয়েছে। বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে অবৈধ সিএনজি, ইজিবাইক, ভটভটিসহ ফিটনেস ও লাইন্সেস বিহীন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।