ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাটে ঘোষিত নৌকাবাইচ সরিয়ে নেওয়ার দাবীতে শুক্রবার বিকেল ৩টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় তৌহিদী জনতা। উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাটে আগামি শনিবার (৭ সেপ্টম্বর) পূর্ব ঘোষিত নৌকাবাইচ অনুষ্ঠানের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওই পদ্মা পার এলাকার গ্রামগুলো জুড়ে রয়েছে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাজীডাঙ্গী মাদ্রাসা ও এতিমখানা, বাদুল্ল্যা মাতুব্বর ডাঙ্গী গ্রামের মাদ্রাসা ও এতিমখানা সহ ৬টি মসজিদ ও ২টি কবরস্থান। তাই এসব ধর্মপ্রতিষ্ঠান ঘেষে অশ্লিল নৌকাবাইচ অনুষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবী তোলেছেন স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও মুসল্লিবৃন্দ।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়ক ঘেষে একে অপরের হাতে হাত ধরে প্রায় এক ঘন্টাকাল দাঁড়িয়ে থেকে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ মানববন্ধন কর্মসূচীর সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আবদুস ছাত্তার। ওই নৌকাবাইচ অনুষ্ঠানটি সরিয়ে নেওয়ার দাবী তোলে মানববন্ধন কর্মসূচীর মধ্যে এক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ কাউছার, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মো. আনোয়ার আলী মোল্যা, কোষাধ্যক্ষ আঃ ছাত্তার কাজী, স্থানীয় আলেমে দ্বীন মুফতী সেলিম হোসেন, মুফতী মো. জাকারিয়া, স্থানীয় মুসল্লি মো. বাবু মোল্যা ও রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাট সংলগ্ন এলাকার হাজীডাঙ্গী গ্রাম বাদুল্ল্যা মাতুব্বরের ডাঙ্গী ও আঃ গফুর মৃধা ডাঙ্গী গ্রামে রয়েছে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আলেমে দ্বীনরা পদ্মা নদীর ভাঙন সহ খোদাই বালা থেকে অত্র এলাকা রক্ষার জন্য আজীবন আল্লাহর দরবারে আরজ গুজার ও কান্নাকাটি করে গেছেন এবং নদী ভাঙন থেকে অত্র এলাকা অনেকটা নিরাপদে আছে। তাই স্থানীয় মুরুব্বিদের পূন্যভুমি নৌকাবাইচের মত অশ্লিল অনুষ্ঠান অন্যত্র সিরয়ে নেওয়ার দাবী তোলেন বক্তারা।