বগুড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের নিয়ে হাবিল (৪৬)নামের এক কুখ্যাত সন্ত্রাসীর উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে তার একটি পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত পোনে ১০টার দিকে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম চান্দুপাড়া এলাকায়।
পুলিশ ঘটনা নিশ্চিত করে জানায়, হাবিল সাবগ্রাম এলাকার চান্দপাড়া গ্রামের আবদুস সামাদের পত্র। তার বিরুদ্ধে শুধু মাত্র বগুড়া সদর থানায় মাদক মারপিট ছিনতাই সহ ৮মামলা রয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের বাঁশ ঝাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হাবিল সাবগ্রাম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী এবং সাধারন মানুষের কাছে ত্রাস হিসাবে কুখ্যাত। দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকা- ও মাদক ব্যবসা চালিযে আসছিল সে। সম্প্রতি মাদকের আধিপত্য নিয়ে একই এলাকার প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে তার বিরোধ তুঙ্গে উঠেছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে হাবিল তার কয়েকজন সহযোগিকে নিয়ে বাড়ীর সন্নিকটে চান্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানীয় একটি বাঁশ ঝাড়ের মধ্য বসে গাঁজাপানের আসরের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রাত আনুমািনক পোনে ১০টার দিকে হঠাৎ প্রতিপক্ষের ৭/৮জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী সেখানে হামলা চালায়। এ সময় হাবিলের সহযোগিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ওই সময় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হাবিলকে রাম দা দিয়ে উপুর্যুপরি ভাবে কুপিয়ে আহত করে। হামলায় আক্রান্ত হাবিল বার বার আত্বচিৎকার করতে থাকলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগের আগে তার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের মারফত খবর পেয়ে হাবিলের পরিবারের লোকজন এসে তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ফাঁড়ী পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে তল্লাশি কালে হাবিলের কাঁটা পা উদ্ধার করে।
এব্যপারে হাবিলের বৃদ্ধ বাবা আবদুস সামাদের দাবী জমাজমি সংক্রান্ত ঘটনায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তার ছেলেকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয় নারুলী ফাঁড়ী পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেকটর মুহা জামিরুল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে এফএনএস’কে জানান, হাবিল এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী এবং কুখ্যাত সন্ত্রাসী। এছাড়াও সে মাদক ব্যবসার সাথে দীর্ঘদিন থেকে জরিত। তার বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মাদক,মারপিট ছিনতাই সন্ত্রাসী ঘটনা সহ ৮টি মামলা রয়েছে।
প্রকৃত ঘটনায় কি কারণে এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে মাদক সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হামলা এবং তার পা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন হাবিলের অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ইত্বপূর্বে ক’বছর আগে হাবিলের ছোট ভাই কাবিলকে একই কায়দায় কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল।