বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার পল্লীতে মাদ্রাসা পড়-য়া কিশোরীকে গণধর্ষণ এর চাঞ্চাল্যকর ঘটনা জানা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা টক অব দ্যা দুপচাঁচিয়ায় পরিণত হলেও বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী কোন সংস্থা জানা সেই। অন্য দিকে ঘটনাকে ধামা চাপা চাপা দিতে উপজেলার আলোহালি পশ্চিম-উত্তর ও বোড়াই দক্ষিণপাড়া যুব উন্নয়ন ক্লাবে গোপন শালিসের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর রবিবার মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে ঐ এলাকার আতো (ছদ্দ নাম) এর মেয়ে হুমা (ছদ্য নাম) (১৩) এর সাথে একই এলাকার বোড়াই গ্রামের বাস্তোর পুত্র আপেল (২০) এর সঙ্গে প্রেমের সূত্র ধরে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। পরে হেনচাগাড়ীর আবদুস সালামের পুত্র পড়শী চাচা সেলিম ও আলোহালি গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ লজু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো ২ জন মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। এ সময় স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে দুপচাচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করেন (যার সিরিয়াল নং-৪৫,১০৭১৮)।
এদিকে বিষয়টি পুলিশ কেস হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে ঘটনাটি চেপে যান। এ বিষয়ে ঐদিন বিকাল ৫টায় হাসপাতালে দায়িত্বরত ডা: বাশারের মোবাইল ফোনে শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একই সাথে বিষয়টি ধামাচামা দিতে আপেল আলোহালি পশ্চিম-উত্তর ও বোড়াই দক্ষিণপাড়া যুব উন্নয়ন ক্লাবে গোপন শালিসের মাধ্যমে পঞ্চাশ (৫০) হাজার টাকা দিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
এলাকাবাসী আরো জানায় এলাকার প্রভাবশালীদের ভয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী মেয়ে হুমার মা বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অপরদিকে আপেলের পিতা ও ভাই মিমাংসার বিষয়ে কোন কথা বলতে না চাইলেও গোপন ক্যামেরার সামনে তারা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অপরদিকে অভিযুক্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষও মোবাইল বন্ধ রাখায় কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব না হলেও সহ-সভাপতি ভুট্ট বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে এলাকার জিল্লুর রহমান ও ওবাইদুল হক ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দিয়ে বলেন, একই এলাকার মধুর মোবাইলে মেয়ের ধর্ষন হওয়ার ঘটনাটি বর্ণনা রেকর্ড করে ভয়ভীতি দেখিয়ে গোপন শালিসে ক্লাবের কতিপয় নেতৃবৃন্দ ৫০ হাজার টাকা নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে অন্য ৪ জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঘটনাটি ধামাচামা দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক ) মিজানুর রহমান কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।