বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে নবম শ্রেনীর এক স্কুল পড়-য়া ছাত্রী (১৫)। সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের জাহানাবাজ গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বাল্য বিবাহের সকল আয়োজন পন্ড করে দেয় এবং ওই ছাত্রীকে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা করেন। এ সময় আদালত বিয়ের আয়োজনের সাথে সংস্লিষ্ট আট জনের ৪৫ হাজার টাকা অর্থ দন্ড করে তা তাৎক্ষনিক আদায় করে।
ভ্রাম্যমান আদালতের হাকিম ও উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, আদমদীঘি উপজেলার ওই গ্রামে একটি বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। ওই গ্রামের জনৈক প্রবাসির মেয়ে এবং নবম শ্রেনীর ছাত্রীর সাথে একই গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে সোহেল রানার (২৫) বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। ভ্রাম্যমান আদালত আসার সংবাদ পেয়ে বর বরের বাবাসহ বর যাত্রীরা বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে পালিয়ে যায়। পরে আদালত মেয়ের মা’র ১০ হাজার এবং বর ও বিয়ের আয়োজনের সাথে জড়িত সাত জনের পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ৪৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের হাকিম ও উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ বিন রশিদ সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসিদের বাল্যবিবাহের কুফল সর্ম্পকে বক্তব্য রাখেন এবং সকলকে সতর্ক করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. নাহিদা সূলতানা, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার জাহিদুল ইসলাম।