যশোরের কেশবপুরে ৯৩ টি মন্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় সার্বজনীন ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় পুরোদমে চলছে পূজার প্রস্তুতি। শিল্পিরা বিনিদ্র রাত পার করছেন। আগামি ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। দেবীর আগমনকে ঘিরে তাই ব্যস্ত যশোরের কেশবপুরের প্রতিমা শিল্পীরা। পঞ্জিকা মতে, নানা ধর্মীয় মাঙ্গলিক আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগামি ৩ অক্টোবর বিকেল ৫টায় পঞ্চমীতে দেবীর বোধন, ৪ অক্টোবর ষষ্টাদিকল্পারম্ভে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস, ৫ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ৬ অক্টোবর মহাস্টমী, ৭ অক্টোবর মহানবমী, ৮ অক্টোবর দশমী পূজা সমাপন ও বিসর্জন। শাস্ত্র মতে, এবছর দেবী দূর্গা পিত্রালয়ে আসছেন ঘোটক বা ঘোড়ায় আগমন আর বিদায় নেবেন একই ভাবে। কেশবপুর উপজেলায় এ বছর ৯৩ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেশবপুর উপজেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক গৌতম রায়। এর মধ্যে পৌরসভায় ৮টি, ১ নং ইউনিয়নে ১ টি, ২নং ইউনিয়নে ১২ টি, ৩ নং ইউনিয়নে ৬ টি, ৪নং ইউনিয়নে ৪ টি, ৫ নং ইউনিয়নে ৪ টি, ৬ নং ইউনিয়নে ৮টি, ৯ নং ইউনিয়নে ১২ টি, ১০ নং ইউনিয়নে ৯ টি, ১১ নং ইউনিয়নে ৯ টি, শারদীয় দুর্গোৎসব আয়োজনের প্রস্তুুতি চলছে পুরোদমে। চিংড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দে সুব্রত বলেন মন্ডপে দূর্গা প্রতিমা তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতীমায় রঙ তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাস্কর শিল্পীরা। কেশবপুর হরিতলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতিী মন্দিরের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক সুন্দর সাহা জানান, প্রতিমার গায়ে চলছে শেষ মুহুর্ত্বের রং তুলির কাজ। দৃষ্টি নন্দন মূর্তি নির্মাণে ভাষ্কর রা সর্বেচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।