নৈতিকতা ও সততা দিয়ে দেশী বিদেশী বিনেয়োগে আধুনিকায়নের মাধ্যমে চিনির সাথে নতুন প্রডাক্ট দিয়ে ১২মাস কাজ করে চিনি শিল্পকে টিকিয়ে রাখা হবে। দেশের অনেক অর্জন আছে। শিল্পের বিকাশ না ঘটলে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সাল এর উন্নত দেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব না। শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালীতে অবস্থিত ফরিদপুর চিনিকল প্রশিক্ষণ ভবনে ২০১৯-২০২০ মৌসুমে আখ রোপন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এলাকার আখচাষী ও শ্রমিক কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা গুলো বলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার পাল।
চিনিকল ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আবদুল বারীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মোবারকগঞ্জ চিনি কলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার কবীর, চিনিকলের শ্রমজীবি ইউনিয়নের সভাপতি শাহ্ মো. হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদাক কাজল কুমার বসু, আখচাষী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, আখচাষী কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. আকরাম হোসেন মিয়া, ওসমান গনি মোল্যা, ডিজিএম (বীজ) মো. আবুল বাসার, আখচাষীদের মধ্যে ওহিদুজ্জামান বাবলু মিয়া, মো. জহুরুল হক, রেজাউল করিম ঝুটু, আবদুল হাই বাশী মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বাসার, মো. সহিদুল মেহেদী, হাজি মকবুল হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতির কারণে আজ এ শিল্পটির করুন দশা। বর্তমান সরকার শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করছে। আধুনিকায়নের মাধ্যমে জবাব দিহিতা এবং চোর, ঘুষ ও দুর্ণীতি প্রতিরোধ করে দেশি বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে চিনি শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি চাষীদেরকে আহবান করে বলেন আপনাদের সহযোগিতায় এটিকে টিকিয়ে রাখা হবে। আগামীতে চাষীদের ভ’র্তকী, আখের মূল্য বীজ সার সময় মত প্রদান করা হবে মর্মে চাষীদের তিনি প্রতিশ্রুত দেন।