ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের ছবুল্ল্যা শিকদার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গত ক’ বছর ধরে ভাঙনমুখী পদ্মা পারে অবস্থান করে চালিয়ে আসছিল শিক্ষা কার্যক্রম। গত দু’দিন ধরে ওই বিদ্যালয় মুখী পদ্মা নদী পারে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে চরম হুমকীর মুখে পড়েছে বিদ্যালয়টি। শনিবার বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৫০ মিটার দুরত্বে অবস্থান করছিল পদ্মা নদী। এ অবস্থায় পদ্মার ভাঙন থেকে বিদ্যালয়কে রক্ষা করা না গেলে চরাঞ্চলের প্রায় ৪শ’ শিশুর শিক্ষা ব্যবস্থা ভেস্তে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার বিকেলে ওই বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল্লাহ জানান, “ এ বছর বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয় পয়েন্টে পদ্মা নদীর ভাঙন দেখা দেওয়ার পর ফরিদপুর পাউবো মোট এক হাজার ছয়শত বস্তা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছিলেন। কিন্তু জিও ব্যাগগুলো ফেরা হয়েছিল আশপাশের পদ্মা পারে। গত দু’দিন ধরে বিদ্যালয়মুখী পদ্মা পারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে প্রায় আড়াই একর ফসলী জমি বিলীন করে বর্তমানে পদ্মা নদী স্কুল থেকে মাত্র ৫০ মিটার উত্তর দিকের দুরত্বে অবস্থান করছে। ফলে যে কোনো সময় বিদ্যালয়টি পদ্মা নদীর কড়াল গ্রাসের শিকার হতে পারে বলেও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন”।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার বাহাউদ্দিন বলেন, “বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য পদ্মা পারে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছিল। আর বর্তমান অবস্থাটা শীগ্রই পরিদর্শন করে উর্দ্ধতনদের জানাবো”।
চরভদ্রাসন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান জানান, “ গত ক’দিন ধরে পদ্মা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে ওই স্কুল পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছি”।