বগুড়া শহর ও এর আঁশ পাশ এলাকার বিভিন্নস্থানে হঠাৎ করেই শিয়ালের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইত্বমধ্যই জেলার শাহজাহানপুর উপজেলা এবং পৌরএলাকার বেতগাড়িতে একদল শিয়ালের আক্রমণে কমপক্ষে ২৫ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে শিয়ালের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় বাসিন্দারা লাঠি হাতে চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে আতঙ্কিত গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন।
বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফা দলবদ্ধ শিয়ারের আক্রমণের কারণে গ্রামবাসী এখন নিয়ম করে লাঠিসোঠা নিয়ে চলাফেরা করা ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়া দিচ্ছেন। অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন স্থানে একই ভাবে শেয়ালের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গবদ্ধ ভাবে শেয়ালের চলাফেরার কারণে মহলা গ্রামের কুকুর গুলো যেন হঠাৎ করেই নিরব হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গত কিছুদিন যাবত শহরের বেশ কিছু এলাকায় হঠাৎ করেই শিয়ালের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেলেও গত বুধবার শহরের বেতগাড়ী এলাকায় সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই শিয়ালের একটি সঙ্গবদ্ধ দল এলাকায় সমবেত হতে থাকে এবং বেপরোয়া ভাবে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে । বিষয়টি প্রথমে এলাকাবাসী ততটা আমলে না নিলেও । এলাকাবাসীর উপর সঙ্গবদ্ধ শেয়ালের হামলার ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরে। শেয়ালের আক্রমনে বেশ কয়েকজন আহত হলে গোটা এলাকায় শেয়াল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিয়ালে কামড়ে আহতরা ই বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
তারই ধারাবহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেরাত পর্যন্ত আবারও কয়েক দফা আক্রমণ চালায় শিয়ালের দল। ফলে এলাকাবাসী সঙ্গবদ্ধ ভাবে শেয়ালের আক্রমণ প্রতিরোধে সোচ্চার হতে শুরু করে। বুধবার রাত থেকেই এলাকাবাসী লাঠিশোটা নিয়ে শিয়ালের দলকে ধাওয়া করতে শুরু করে। গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে লোকালয় থেকে সরে গেলেও গোটা এলাকাবাসীর মধ্য শেয়াল আতঙ্ক দেখা দেয়। এদিকে শিয়াল আতঙ্কে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে স্থানীয় লোকজন লাঠি হাতে পাহারা দিতে দেখা গেছে। শিশু-কিশোররা বড়দের সঙ্গে লাঠি নিয়ে গ্রামে ঘুরছে শিয়াল মারার জন্য।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বৃহস্পতিবার এলাকার কয়েকটি স্থানে কোন কিছু বুজে ওঠার আগেই কয়েকটি শেয়ার বাড়ী ঘড়ে ঢুকে পড়ে এবং বিভিন্নজনকে আমড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও গত কয়েকদিনে এলাকায় বেশ কিছু গৃহপালিত পশুর উপর শেয়ালের হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে হঠাৎ করেই এলাকায় শেয়ালের উপদ্রপ বৃদ্ধি পাওয়া এবং এলাকার বাসিন্দা এবং গরু ছাগলের উপর শেয়ালের এ ধরনের বেপরোয়া আচরনের কারণ সমপর্কে কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না এলাকাবাসীর।
এদিকে শেয়ালের উপদ্রপ বৃদ্ধি এবং তাদের সঙ্গবদ্ধ হামলার ঘটনায় সন্ধ্যার পর থেকে মানুষজন একা চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছেন।অন্যদিকে বিকেল হতেই ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের বাড়ী থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
মানুষজনের উপর হামলার ঘটনায় একটি শেয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলার পর থেকে গ্রামবাসীর মধ্য শেয়াল আতঙ্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছ্।ে তাদের ধারনা সুযোগ পেলেই মেরে ফেলা শেয়ালের প্রতিশোধ নিতে সঙ্গ বদ্ধভাবে শেয়ালের দল আবারো হামলা চালাতে পারে। যে কারণে আতঙ্কিত গ্রামবাসী শেয়ালের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে অপ্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসাবে বাড়ী ঘড়ে এবং বিকাল থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে গ্রাম পাহারা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।