তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঝালকাঠিতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জেলা টাস্কফোর্স কমিটির কার্যক্রম গতিশীল করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে তামাকজাত দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ করা এবং জনসচেতনতা বাড়াতে তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী সোমবার ডিসি অফিসের সুগন্ধা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতকালে সিদ্ধান্তসমূহের কথা ব্যক্ত করেন। বেসরকারি সংস্থা গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি স্থানীয় সূর্যালোক ট্রাস্টের সহযোগিতায় ‘বরিশাল বিভাগে বাংলাদেশের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণ আইনের বাস্তবায়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে। প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে- ‘দি ইউনিয়ন ও ব্লুমবার্গ ইনেশিয়েটিভ টু রিডিউস টোব্যাকো ইউজ’।
তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতামূলক কর্মকা নিষিদ্ধকরণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফিুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম ফরিদ উদ্দিন এবং সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাক্তার মোঃ শাকিল খান বিশেষ অতিথি ছিলেন। ‘সমাজ উন্নয়ন কমিটির’ সভাপতি ডালিয়া নাসরীনের সভাপতিত্ব করেন। তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন সূর্যালোক ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক হেমায়েত উদ্দিন হিমু।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মহিন উদ্দিন মঈন তালকুদার, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান, সিনিয়র স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম কুমার দাস, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিল প্রমুখ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
এছাড়াও কর্মশালায় মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপপরিচালক মোঃ আলতাফ হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান খান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বশির গাজী, মাহমুদা জাহান, মাছুমা আক্তার, আবুজর মোঃ ইজাজুল হক ও সমাপ্তি রায়, পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর নাছিমা কামাল এবং সমাজ উন্নয়ন কমিটির সদস্য রুহুল আমীন ও উম্মে আয়মান জ্যোতি অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার পর সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়।