ঝালকাঠি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুকুর খননে পকুর চুরি, বিভিন্ন টেন্ডারে পছন্দের ঠিকাদারকে আগেই রেডকোড জানিয়ে দেয়া, টিউবওয়েল প্রদানে ঘুষ গ্রহন, কাজ প্রতি পারসেন্টিজ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজের পার্সেন্টিস নিয়েও ষ্টাফদের সাথে দুরত্ব রয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঝালকাঠি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, রাজাপুৃর, কাঠালিয়া ও সদর উপজেলায় যে ওয়াশ ব্লক ও পুকুর খননের কাজ চলছে তাতে পুকুর চুরি করা হচ্ছে। সদর উপজেলায় নির্বাহী প্রকৌশলীর পছন্দের ঠিকাদার জাহাংগীর মিয়াকে এ কাজ দেয়া হয়েছে। এখানে পুকুর খননের জন্য একেকটিতে ২৮ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও প্রতিটি পুকুর খননে ১০ লাখ টাকাও খরচ হচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পুকুর খনন যতটা ডিপ হবার কথা রয়েছে, ঠিকাদার তা করছেননা। বর্ষাকালে এ কাজ করায় কাজে ফাঁকি দেয়াটা আরো সহজ হয়েছে। ঝালকাঠি সদরের নবগ্রাম ইউনিয়নের বাউকাঠি বাজারে ১ টি, আনোয়ার মেম্বরের ভিটায় ১টি এবং চামটা বাজারে ১টি সহ মোট তিনটি পুকুর খননের কাজ চলছে।
বাউকাঠি এলাকার আনোয়ার মেম্বর বলেন, আমার এলাকার এই পুকুর খননে পুকুর চুরি হয়েছে। মাত্র ৪ আনি কাজ করে ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে গেছে।
শুধু পুকুর খননেই নয়, প্রকৌশলী বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন টেন্ডারে পছন্দের ঠিকাদারকে আগেই রেডকোড জানিয়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, এই প্রকৌশলী ঝালকাঠিতে যোগদান করার পর তার পছন্দের ঠিকাদার বরগুনার কামাল এন্টারপ্রাইজ শতকরা ৯০ ভাগ কাজ পেয়েছে। কামাল এন্টারপ্রাইজ বরগুনার হলেও রাজাপুরের জনৈক তপন ঠিকাদার কামাল এন্টারপ্রাইজের নামে কাজ করে বলে জানা গেছে। রেড কোড আগেই জেনে যাওয়ায় একই ঠিকাদার বার বার কাজ পাচ্ছে বলে সূত্রটি দাবী করেছে।
এছাড়াও প্রকৌশলী বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিটি কাজের জন্য ২ % নিজে নেয়া এবং ১% ক্যাশিয়ার কবির হোসেনকে দেয়া সহ টিউবওয়েল প্রদানেও ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি অভ্যন্তরীন সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এসব অভিযোগের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অফিস ষ্টাফদের সাথে দূর্ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে। গত ১৩ সেপ্টম্বর শুক্রবার তিনি আকবার আলী নামে এক অফিস ষ্টাফকে ৫ ঘন্টা একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন বলে অফিস কর্মচারীরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী বাদশা মিয়ার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা অভিযোগও সত্য নয়, সব ফালতু। রেড কোড আগে জানিয়ে দেবার কোন সুযোগ নেই। আর পুকুর খননেও কোন দূর্নীতি করা হয়নি।