ঝালকাঠিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের বরাদ্ধ করা প্রতিটির জন্য ১ লাখ টাকা করে বরাদ্দ করা হলেও খরচ করা হচ্ছে ২০/৩০ হাজার টাকা। বরাদ্ধের প্রায় ৪/৫ ভাগের এক ভাগ টাকা দিয়েই শহীদ মিনার নির্মান কাজ সমাপ্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সদর উপজেলার বালিঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাঁচাবালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাওড়াকাঠি নব আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও পিপলিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসব শহীদ মিনারের নির্মান কাজ চলছে। সদর উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালীর তত্ত্বাবধানে শহীদ মিনার নির্মানের কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।
সদর উপজেলার বালিঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান তাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মান করতে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। নিম্ম মানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে দায়সারাভাবে নির্মান করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
কাঁচাবালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মানের দায়িত্বে ছিলেন বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মানিক মিয়া। ঠিকাদার ইসরাত জাহান সোনালী ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়ে শহীদ মিনার নির্মান করতে বলেন। সেই টাকায় যেটুকু হয়েছে সে টুকুই নির্মান করেছি। ১ লাখ টাকা বরাদ্দের কথাও জানতে না তিনি।
এ প্রসঙ্গে গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাসুম শেরওয়ানি বলেন, শহীদ মিনরার নির্মান নিয়ে চরম অনিয়ম হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমিও বিব্রতকর অবস্থায় আছি।
এ বিষয় জানতে চাইলে এই প্রকল্পের সদস্য সচিব সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী লুৎফর রহমান বলেন, এ বিষয় আমি এখন বলতে পারবোনা, এসও মঞ্জুর সাহেবের সাথে কথা বলেন।
এসও উপসহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুর রহমান বলেন, শহীদ মিনারের জন্য ১ লাখ টাকা না ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা এ মুহুর্তে মনে নেই। বিষয়টি সোনালী আপা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান) তত্তাবধান করছেন। সেই ভালো বলতে পারবে।
ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালি বলেন, আমিই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছি। এরপর তা নির্মানে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলেও ভ্যাট ট্যাক্স কেটে যা থাকে তা সঠিক ভাবে কাজে লাগানো হয়েছে।