বিদ্যালয়টি স্থাপন হয় ৪৬ বছর আগে। নির্ভৃত পল্লী এলাকা হলেও ছাত্রছাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি। লেখাপড়ার মানও বেশ ভালো। দিনদিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রেণীকক্ষ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিঘিœত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। ছোট ছোট কক্ষের মধ্যে ক্লাস নিতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা সদর হতে প্রায় ১১ কিলোমিটার দক্ষিণে কামালেপাড়া ইউনিয়নের নির্ভৃত পল্লীতে অবস্থিত ওই বারোকোনা উচ্চ বিদ্যালয়টি।
১৯৬৭ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের উদ্যোগে বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু করে। বিদ্যালয়টিতে শ্রেনী কক্ষ সংকটের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান বিঘিœত হচ্ছে। সেই সাথে বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্বল্প দিনের প্রতিষ্ঠানটির সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিবারই এসএসএসি পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলায় প্রথম কিংবা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আসছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেনী পর্যন্ত ১৪শ’ ৯৩ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে। শ্রেণী কক্ষ গাদাগাদি হয়ে বসে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত একটি টিনসেড ভবনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। সামন্য বৃষ্টি হলে ভবনের টিন চুয়ে পানি পড়ে। তাছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের কোনো কমনরুম নেই। শিক্ষকদের জন্যেও বসার কোনো কক্ষ নাই। এ ব্যাপারে কথা হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বিদ্যালয়ের টিনসেড ভবনের জায়গায় একটি চারতলা ভবন নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া গেলে শ্রেণীকক্ষ সংকট সমাধান হবে। সেই সাথে শিক্ষার্থীরাও উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে শিক্ষা গ্রহন করতে পারবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, আসলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রেণীকক্ষের সংকট হয়েছে। তবে চাহিদার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে ভবন নির্মাণ হবে বলে আশা করেন তিনি।