বগুড়ার শিবগঞ্জে উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেত্রী ফাইমা আক্তারের বিরুদ্ধে কাজ পাইয়ে দেবার নামে টাকা আত্বসাৎ এবং লাঞ্ছিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নাটকের ঘটনায় গোটা এলাকায় মি¯্র প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় তাকে দফায় দফায় লাঞ্ছিত করা সহ তাকে মারপিট করার ভৌতিক অভিযোগএবং বিভিন্ন সময়ে তার মিথ্যাচরিতামূলক ফেসবুক টেটাসে তার বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে।
এব্যপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প কাজ পাইয়ে দেয়া সহ বয়স্ক ও বিধবা ভাতা করে দেয়ার নামে এলাকার ২০/২২জন অসহায় দরিদ্র কয়েকজন নারীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গুহন করেন শিবগঞ্চ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেত্রী ফাইমা আক্তার।
স্থানীয় পুলিশ ও এলাকায় কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে আরো জানা যায় এলাকার বেশ কয়েকজন দুস্থ াসহায় নারীর কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড সহ স্থায়ী কাজের চাকুরী করে দেয়ার নামে বিভিন্ন জন থেকে ৭হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা গ্রহন করেন ফাইমা আক্তার। এরপর দীর্ঘ কয়েক মাস সময় অতিবাহিত হয়ে যাবার পরেও তিনি কাল ক্ষেপনের অজুহাতে তাদের চাকুরী বা কাউকে করে দেননি।
ওই ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগিরা তার কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও তাদের টাকা ফেরত পাননি। তারই জের নিয়ে বুধবার বিকালে ভুক্তভোগীরা উপজেলা পরিষদের অফিসে তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে ফাইমা তাদের সাথে অশ্লারিন ব্যবহার করেন এবং ভয়ভীতি দেখান। টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের রুরো আচরণ ও হুকমীতে ক্ষুব্ধ হয় ভুক্ত ভোগীরা। ফলে তাদের সাথে তার বাকবিত-া হয়।
এদিকে ওই দিন সন্ধ্যার পর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেত্রী ফাইমা আক্তার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বোরকা ছিঁড়ে ফেলা সহ তিনি আহত হয়েছেন মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেসবুকে একটি পোষ্ট দেন। একই সাথে তিনি সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের কাছে একই অভিযোগ করেন।
এব্যপারে শিবগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) এর সাথে কথা বলা হলে তিনি সংবাদ সংস্থা এফএনএস’কে জানান ,তিনি ভাইস চেয়ারম্যানকে মারপিটের কোন ঘটনা শোনেননি।কাজ দেয়া ও কার্ড করে দেয়ার নামে তিনি বিভিন্ন মহিলার কাছ থেকে ৭/৮ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। বলে তিনি জেনেছেন। ওই নারীরা টাকা ফেরতের জন্য তার অফিসে গিয়ে চড়াও হয়। তাদের সাথে বাকবিতন্ডা এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ সেখানে গিয়ে ভাইসচেয়ারম্যনকে নিরাপত্তা দিয়ে তাকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেণ। তিনি আরো বলেন তাকে মারপিট করা হয়েছে এমন কোন অভিযোগ থানায় করা হয়নি এমনটি জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।