ফরিদপুর শহরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে সেরা দশ কৃতী শিক্ষার্থীর সাথে একান্তে আলাপচারিতায় অংশ নিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। শিক্ষার মানোন্নয়নে যাত্রা শুরু হওয়া অভিনব ও ব্যাতিক্রমী এই মাসিক উদ্যোগের নাম দেয়া হয় ‘মিট দ্যা ডিসি’।
শুক্রবার সাপ্তাহের ছুটির এই দিনটিতে সকালের নাস্তা থেকে মধ্যান্হভোজ পর্যন্ত সময় অন্তরঙ্গ পরিবেশে মনোযোগ সহকারে মেধাবী এই ছাত্র ছাত্রীদের কথা শোনেন জেলা প্রশাসক। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সংবাদিকবৃন্দ ও সরকারী কর্মকর্তাগণ। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান কিভাবে আরো উন্নত করা যায়, কি ভাবে বর্তমান প্রজন্মর শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের সুনাগরিক হতে পারে সে বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত শোনেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রোকসানা রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র মন্ডল, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হাসাউজ্জামান, আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহা. জয়নুল আবেদিন, সারদাসুন্দরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ‘মিট দ্যা ডিসি’র এই প্রকৃয়া সূচনা হল মাত্র। ফরিদপুর পৌর এলাকার ২৫টি হাইস্কুলের পাশাপাশি কলেজ ও মাদ্রসাগুলোকেও প্রতিমাসে তাদের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সেরা শিক্ষার্থীদের খুজে বের করতে হবে। তাদের মধ্য থেকে সেরাদের সেরা দশ জন প্রতিমাসের প্রথম শুক্রবার ‘মিট দ্যা ডিসি’ অনুষ্ঠানের জন্য মনোনীত হবে। একই ভাবে উপজেলাগুলোতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেরা দশ শিক্ষার্থী প্রতিমাসে মিলিত হবে ‘ মিট দ্যা ইউএনও’ তে। আমরা সরকারের মাঠ পর্যয়ের প্রতিনিধি হিসেবে সরাসরি সেরাদের মুখথেকে তাদের সমস্যার কথা শুনে সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়ে দ্রুত সমাধান দিতে চাই। তিনি বলেন, শুধু পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরে সেরা নয়; মেধায়, মননে, শৃঙ্খলায়, পোষাকে, আচরনে, নেতৃত্বে, সধারন জ্ঞানে, বিদ্যালয়ে হাজিরায় ও সহ শিক্ষা কার্যক্রমে সবমিলিয়ে নির্ধারন করা হবে শিক্ষার্থীর শ্রেষ্ঠত্ব।
‘মিট দ্যা ডিসি’র প্রারম্ভিক এই আয়োজনের সেরা দশ শিক্ষার্থী ছিলো ফরিদপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জেরিন ওমর সামারা, আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাদিয়া ইসলাম, ঈশান বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সিঁথি আক্তার, হালিমা গার্লস স্কুল এ- কলেজের প্রভাতী নূর, আনসারউদ্দীন উচ্চবিদ্যালয়ের মো. আবির হাসান, মহিম ইন্সটিটিউশনের রহিমা আক্তার, পুলিশ লাইন্স হাই স্কুলের কে.এম নাঈম, ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের আবদুল ওয়াদুদ রাবিব ও সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অদ্বীতি কর্মকার।