হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগে বাদিকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। এটি ঘটেছে গত ৫ অক্টোবর রাতে সৈয়দপুরে শহরের গোলাহাটে। আসামিরা হলেন ওই মামলার বাদি গোলাহাট এলাকার আফসার আলী চৌধুরীর (থোপসা) ছেলে হিটলার চৌধুরী ভলু (৪৫) ও স্ত্রী মোছা. ফাতেমা বেগম চৌধুরী (৬২), মৃত ইউসুফের ছেলে ইয়াকুব (৪২), সৈয়দ আলীর ছেলে কাজল (৩০), আইয়ুব আলীর ছেলে বাবু (৩৫), মৃত খোদা উদ্দিনের ছেলে সমশের আলী ওরফে সেরু (২৫), মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম (৪০), আরমান (৩৭) এবং সোহাগ সরকার চৌধুরী (২৬)। এজাহার সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর থানা পুলিশ খবর পায় যে, সৈয়দপুর শহরের চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত গৃহবধু সুরভি ইসলাম পপি হত্যা চেষ্টার ২ আসামি জীবন ও রাজা শহরের পুরাতন বাবুপাড়াস্থ মোটর সাইকেল মেকার লাল্লুর বাড়িতে অবস্থান করছে। সেখানে তারা মামলার বাদি গোলাহাটের ঘোড়াঘাট এলাকার সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হিটলার চৌধুরী ভলু তার স্ত্রী পপির সাথে শলাপরামর্শ করছে। এ খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে হিটলার চৌধুরী ভলু আসামীদের নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে বাইপাস সড়ক হয়ে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় পুলিশ মাইক্রোবাসের পিছু পিছু গোলাহাটে তার বাড়ির কাছে গিয়ে আসামীদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের জন্য বললে বাদি তার সহযোগি লোকজন দিয়ে পুলিশকে ধাক্কা-ধাক্কি করে বাড়ির ভিতরে যেতে বাধা দেয়। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কির একপর্যায়ে হিটলার চৌধুরী ভলু আসামীদের নিয়ে তার বাড়ির পিছন গেট দিয়ে বের হয়ে যায়। অন্যদিকে বাড়ির সামনে অন্যান্য আসামিরা পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পুলিশ জোর পূর্বক বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করলে হিটলার চৌধুরীর মা ফাতেমা বেগমসহ ইয়াকুব, কাজল পুলিশের উপর চড়াও হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় উপর্যুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে বাধা, পলায়নে সহযোগিতা, পুলিশকে লাঞ্চিত করাসহ পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে বেআইনী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে এজাহার দায়ের করেন সৈয়দপুর থানার এস আই আবু বকর সিদ্দিকী। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহজাহান পাশা জানান, থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আইনি কাজে বাধা দানকারীদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।