দাওয়াত খেয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো টংকো নাথের। ঘাতক বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন। এ ঘটনায় একজন রিকশাভ্যান আরোহী ও শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভটভটির চালক গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সড়ক দূর্ঘটনাটি গত ৯ অক্টোবর বুধবার রাত আনুমানিক ৮টায় উপজেলার সৈয়দপুর-দশমাইল মহাসড়কের রাণীরবন্দর সুইহারীবাজারে ঘটেছে।
নিহত জগদিশ চন্দ্র রায় ওরফে টংকো (৬০) খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের মৃত চিনিরাম রায়ের ছেলে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় সৈয়দপুর থেকে দশমাইলগামী একটি দ্রুতগামী বিআরটিসি বাস (ঢাকা মেট্টো চ-৮২৯২) রাণীরবন্দরের বাহাদুরবাজারে একটি রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাভ্যানটি দুমড়ে-মুষড়ে যায় এবং আরোহী উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের গছাহার গ্রামের শাহ্পাড়ার মৃত আবদুল ওয়াহাবের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (৪০) গুরুতর আহত হয়। গাড়িটি পালিয়ে যাওয়ার সময় সুইহারীবাজারে একটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভটভটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পথচারী জগদিশ চন্দ্র রায় ওরফে টংকো (৬০) বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এবং ভটভটির চালক উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের রাণীপুর গ্রামের প্রধানপাড়ার মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. মোকছেদুল ইসলাম (২৬) গুরুতর আহত হয়। বাসের ধাক্কায় ভটভটিটি দুমড়ে-মুষড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
দশমাইল হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) জি এম শামসুন্ নুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক, হেলপার ও কন্টাক্টর পলাতক রয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।