সিংড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের খামখেয়ালিপনা ও নভেম্বর মাসের তৈরি ভুতুরে বিল নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন উপজেলার সহস্রাধিক গ্রাহক। অভিযোগ উঠেছে মিটার রিডার বাড়ি বাড়ি না গিয়েই সারা বছর ঘরে বসে ইচ্ছে মতো রিডিং বসানোর কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এতে করে গ্রাহকদের অতিরিক্ত চার্জ গুনতে হচ্ছে।
উপজেলার রাখালগাছা বাজারের ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসপ দোকান মালিক মোঃ শাহাদত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রতিমাসে তার দেড় থেকে দু’হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। অথচ নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিংড়া জোনাল অফিস থেকে তার কাছে নভেম্বর মাসের ৪৫ হাজার ৬০৬ টাকা বিল ইস্যু করে পাঠানো হয়েছে।
ব্যবসায়ী মোঃ শাহাদত হোসেনের ছেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন, এমন ভুতুড়ে বিল আমি জীবনে দেখিনি। মিটার রিডার ঘরে বসেই বিল তৈরি করেছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, সারা বছর বিল ঠিক ঠাক এলেও এ মাসে বিল এসেছে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা। যা কাল্পনিক ছাড়া কিছু নয়। এতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। আর তার মতো অনেকের এমন ভুতুড়ে বিল এসেছে।
উপজেলার সুকাশ তালঘড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমান বলেন, তার প্রতিমাসে তিনশ থেকে চারশ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে অথচ নভেম্বর মাসে ৫৫৯৯ টাকা বিল এসেছে। এনিয়ে তিনি সিংড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এসেছেন। অফিসের কয়েক জনের কাছে ঘোড়াঘুড়ি করে কোন সদুত্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
সাতপুকুরিয়া গ্রামের আজিজুর রহমান বলেন, তার দেড় হাজার টাকার বিল কুড়ি হাজার টাকা পরিণত হয়েছে। এতে বিল নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিংড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোঃ রেজাউল করিম বলেন, মিটার নষ্ট, রিডিং ভুল অথবা অবৈধভাবে সংযোগ দেয়ার কারলে হয়তো বিল বেশি আসতে পারে। তবে আমরা খুবই আন্তরিক। কোন সমস্যা হলে সঙে সঙে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর এখানে কোন গ্রাহকের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
শুনা যাচ্ছে মিটার রিডার সংকট রয়েছে এই প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিজিএম আরো বলেন, আগে সিংড়া উপজেলায় মাত্র ৪০ হাজার গ্রাহক ছিল। বর্তমানে লক্ষাধিক গ্রাহক ছাড়িয়ে গেছে। এতে মিটার রিডারের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। আর এর জন্য মিটার রিডার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।