যশোরের বাঘারপাড়ার পুকুরিয়া গ্রামের ট্রাকচালক শেখ রিপন হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা, বাড়িঘর ভাংচুর ও মালামাল চুরির অভিযোগে ৯ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার রিপন হোসেন আদালতে এ মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগ গ্রহণ করে মামলা হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন বাঘারপাড়ার থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো, হলদা গ্রামের উজির খালাসীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, বেতালপাড়ার ছুরমান মোল্যা ও তার ছেলে আমিনুর রহমান, মেয়ে রেশমিনা বেগমন, মৃত মুনছুর ধনীর ছেলে আসাদ, মৃত মকছেদ মোল্যার ছেলে হারুন নাপিত, শামছুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম, জয়নাল মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলাম ও পুকুরিয়া গ্রামের শহর আলীর ছেলে সাহারাব বিশ্বাস।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, শেখ রিপন হোসেন ট্রাক চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। এ কারণে তিনি অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকেন না। এ সুযোগে তার স্ত্রী রেশমিনা বেগম পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি রিপন হোসেন জানতে পেরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। তার স্ত্রী পিতার কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বেশ কয়েক বার রিপনকে মারপিট করিয়েছে। রিপন তার প্রথম স্ত্রী-সন্তানদের বাড়ি রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে খাজুরায় বাসা ভাড়া করে সংসার করতে থাকে। এরপর তার প্রথম স্ত্রী খাজুরার বাসায় এসে তাকে জানায় তারা মিলেমিশে সংসার করবে গ্রামের বাড়িতে থেকে। গত ৮ অক্টোবর প্রথম স্ত্রীর কথা বিশ্বাস করে রিপন হোসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যান। এদিন রাতে প্রথম স্ত্রী তার সাথে ঝগড়া বাধায় কেন সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এরপর তার পিতার বাড়িতে মোবাইল করে আসামিদের ডেকে আনে। আসামিরা রাত ১০টার দিকে তার বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে মারপিট ও পিয়ে জখম করে। এ সময় তার দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম, হানিফ শেখ ও ফরিদা বেগমকে মারপিট করে। এরমধ্যে আসামিরা ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।