পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা বন্দরে অপারেশনাল কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ কার্যক্রম আরও বেগবান করার জন্য নির্মিত হয়েছে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ মিটার প্রস্থ্য বিশিষ্ট সার্ভিস জেটি। এ জেটি থেকে পণ্য ওঠা নামা করানোর জন্য ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪ টন লিফটিং ক্যাপাসিটি সম্পন্ন জার্মানের তৈরি মোবাইল হারবার ক্রেন বসানো হয়েছে। একই সাথে যুক্ত হয়েছে ৩০ টন ক্যাপাসিটির একটি মোবাইল হাইড্রোলিক ক্রেন ও ২৫ টন ক্যপাসিটির ফর্ক লিফট।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় পায়রা বন্দর জেটিতে পণ্য পরিবহনের জন্য বসানো এ ক্রেন থেকে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর ফলে এ জেটি থেকে পণ্য ওঠা-নামানোসহ জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামানো যেমন সহজ ও দ্রত সময়ে সম্পন্ন হবে তেমনি জাহাজে মালামাল দ্রুত আপলোড করা যাবে। এ জেটিতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুত সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দরের সুপারিনটেড এস এম ইমতিয়াজ ইসলাম, উপ-পরিচালক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারি পরিচালক মো. সোহেল মীর ও সহকারী প্রকৌশলী মো. আসাদুল্লাহ আশি প্রমুখ।
পায়রা বন্দরের সুপারিনটেড এস এম ইমতিয়াজ ইসলাম জানান, এ ৬৪ টন মোবাইল হারবার ক্রেনের মাধ্যমে হুক, গ্রাব ও সোরেডর এ তিন ধরণের অপারেশন কাজ করা হবে। এ ছাড়া বন্দর এলাকায় ডিআইএসএফ প্রকল্প, কোল টার্মিনাল, ফাষœট টার্মিনাল প্রকল্প, মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এ বন্দরে যাতে জাহাজ আসা যাওয়ায় কোন সমস্যা না হয় এজন্য বেলজিয়াম ভিত্তিক কোম্পানি জান ডি নুল এর মাধ্যমে রাবনাবাদ চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিঁনি বলেন, বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় পণ্য আমদানী-রপ্তানীর মাধ্যমে পটুয়াখালী, বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন,শিল্পায়ন ও বানিজ্যের প্রসার ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য,২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা বন্দরের উদ্বোধন এবং ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরে অপারেশনাল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।