যশোরের কেশবপুরে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৪১০ জন আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শহরের দুই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে সহ¯্রাধিক এডিস মশার লাভা উদ্ধার করা হয়। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয় এবং ২৯ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হারুন-অর-রশীদ জানান।
কেশবপুরে শহরের ব্যবসায়ী কনক কুমার সেন ও নাসির আহমেদ গাজীর বাড়ির টায়ারের মধ্য থেকে প্রায় ১ হাজার এডিস মশার লাভা উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার কেশবপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুশান্ত দত্ত ওই দুই ব্যবসায়ির বাড়িতে পুরনো টায়ারের মধ্যে জমে থাকা পানি থেকে এডিস মশার লাভা উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত শিশু ও নারী পুরুষসহ ৪১০ জন চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডাক্তার সংকটের কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তসহ অন্য রোগিদের চিকিৎসা সেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তারা হলেন শহরের স্বর্ণ পট্টিতে বসবাসকারী আনন্দ ঘোষের স্ত্রী সাগরিকা ঘোষ, মোবাইল গার্ডেনের ম্যানেজার সজল সিংহ, বরণডালী গ্রামের আবদুস কুদ্দুস ও বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের জামির মোড়লের মেয়ে লাভলী খাতুন।
স্বর্ণপট্টির ব্যবসায়ী উজ্জ্বল সেন, আবু সাঈদ, কুন্তল বিশ্বাস, গোপাল কুন্ড, টুকু ঘোষসহ অনেকেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কেশবপুরের অনেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক, যশোর, খুলনা ও ঢাকায় চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুশান্ত দত্ত জানান, সোমবার শহরের স্বর্ণ পট্টির কনক সেন ও নাসির গাজীর বাড়িতে পুরনো টায়ারের মধ্য থেকে ডেঙ্গু মশার লাভা উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হারুন-অর-রশীদ বলেন, স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৪ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে শতাধিক রোগী থাকে জ¦রে আক্রান্ত। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশি। জ¦রে আক্রান্ত কোন রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। যশোরের মধ্যে কেশবপুর সবচেয়ে ডেঙ্গু প্রবন এলাকা বলে যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার দিলীপ রায় নিশ্চিত করেছেন।