ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পুলিশের সাথে স্থানীয়দের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় গুরুত্বর আহত ২৮ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। রোববার দুপুর একটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের শেবাচিমে ভর্তি করা হয়।
শেবাচিমের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবুল হাসানাত রাসেল জানান, ভর্তিকৃতরা সবাই গুলি ও গুলির পিন বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। আহতরা হলো-বোরহানউদ্দিনের মিজানুর রহমান (৩০), ইউনুস আলী (৬০), নান্টু (৪০), মাকসুদুর রহমান (১৮), তানভীর হোসেন (৩০), ওয়ালিউল্লাহ (২৪), সিদ্দিকুর রহমান (২৮), আবু তাহের (৩০), শামীম (১৮), সোহরাব হোসেন (৩০), আলামিন (১৮), জামাল উদ্দিন (২৫), আবুল কালাম (৩৮), কবির হোসেন (৩৫), আলাউদ্দিন (৪২), সোহেল (২৬), হান্নান (৪৫), রিয়াজ (২৯), ইমাম হাসান (২৬), নুরুল ইসলাম (৩৫), রকিব (১২), মনির হোসেন (১৭), হাসিব রহমান (১৪), তাজুল ইসলাম (৫৫), মুন্না (১৩), সুজন (৩৫), রাকিব হোসেন (১৫) ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি (৪০)।
আহতদের মধ্যে মুদি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, বোরহানউদ্দিন জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। যেখানে স্থানীয় লোকজন অংশগ্রহণ করেন। কোনো একটি বিষয় নিয়ে সমাবেশে আসাদের সাথে পুলিশের বাগ্বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছুড়তে শুরু করে। সেখান দিয়ে দোকানে যাওয়ার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার সাথে থাকা স্বজন বোরহানউদ্দিনের বাসিন্দা রিয়াজ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি আপত্তিকর পোস্টের জেরধরে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিলো। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে সমাবেশ শেষ হয়ে যায়। পরে আবার স্থানীয়দের সাথে পুলিশের বাগ্বিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে শেবাচিম হাসপাতালে আহতদের ভর্তির খবর জানতে পেরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে গুলিবিদ্ধে আহত ভর্তি রোগীদের তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন।