গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি সংখ্যালঘু শ্রী সম্ভু মাঝি (৩৮)এর ’উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সমিতির সদস্যরা ও এলাকাবাসী।
জানাগেছে,সম্প্রতি ইন্ডিপেন্ডেট টেলিভিশনের তালাশের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে “সরকারী খাস পুকুর নিয়ে পুকুর চুরি” ক্ষমতা যার জলা তার, এ-সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষাতকার দেওয়ায় গত শনিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ বাড়ী জিরাই গ্রাম থেকে চৈতা হাওলাদারের ছেলে মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি সম্ভু মাঝিকে পার্শবর্তী কোচাশহর বাজারে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। সম্ভু মাঝির পরিবার জানায় শাখাহার ইউনিয়নের দইহারা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহিন মিয়া (৪৫)সহ কয়েকজন অপরিচিত লোকজন বাড়ী থেকে কোচাশহর ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টা এলোপাতাড়ি মারপিট করে এ সময় তার আত্ম-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় শম্ভুকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে।
সম্ভু মাঝির উপর হামলাকারী কে এই শাহীন, শাহীন সহ সকল হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ওই দিন বিকালে মহিমাগঞ্জ মৎসজীবি সমিতির আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল ডাকবাংলা থেকে বের হয়ে মহিমাগঞ্জ বন্দরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডাকবাংলো এসে শেষ হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, মহিমাগঞ্জ মৎসজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক চেবাস চন্দ্র, সদস্য আনন্দ, বিনয় সাধু, সাধন, অনন্ত কুমার ও ভবেশ চন্দ্র প্রমূখ। বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী পুকুর চোর শাহীনের নেতৃত্বে নামধারী কিছু সন্ত্রাসী সংখ্যালঘুর উপর এই হামলা চালিয়েছে। তার আরও বলেন মহিমাগঞ্জ মৎসজীবি সমিতির নামে ৯ টি পুকুর ইজারা হলেও এই শাহীন ওই সব পুকুরে যেতে নিশেধ করেছিল। অবিলম্বে শাহীন সহ সম্ভুর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান তারা। অন্যথায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সকল মৎস্যজীবি সমিতি বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
এ দিকে পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার কারণে ওই শাহীনের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আবদুর রহমান মাষ্টারকে লাঞ্চিত করা হয়। বিগত কয়েকদিন থেকে উল্লিখিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোবিন্দগঞ্জে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।