গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সংখ্যালঘু শম্ভু মাঝি’র উপর হামলাকারী স্থানীয় সাংসদ আলহাজ¦ প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধূরীর ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল-হাসান চৌধুরী লিটন ও তার সহযোগী অপকর্মের হোতা শাহিনুর রহমান শাহিনকে গ্রেফতারের দাবীতে উপজেলার মৎস্যজীবি সমিতির ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ২১ অক্টোবর সকাল ১১টায় উপজেলা চত্ত্বরে মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি/সম্পাদকগণ বক্তব্য রাখেন, ছানোয়ার হোসেন (সভাপতি),ধলু মন্ডল ,মোস্তাফিজুর রহমান,আব্দুল লতিফ,আলী,সাদা মিয়া,শ্রীবাস,আঃ ছাত্তার সহ আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও ওই মানবন্ধনে মৎস্যজীবীদের সাথে সংহতি রেখে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকিতুর রহমান রাফি বক্তব্য রাখেন এবং তিনি আহত শ্রী সম্ভুর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান। অন্যথায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সকল মৎস্যজীবি সমিতি বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
মানবন্ধনে বক্তাগণ বলেন, উপজেলার ১১০টি সরকারী খাস পুকুর বিভিন্ন ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতিকে লিজ দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক ভাবে টেন্ডার জমা দেওয়ার জন্য গত ৬ মার্চ দিন ধার্য্য করেন। মৎস্যজীবীরা ঐ দিন টেন্ডারে অংশ গ্রহনের জন্য প্রশাসনিক দপ্তরে আসেন। কিন্তু অধিকাংশ সমিতি বর্তমান সাংসদের বিপক্ষের বলে এমপির ভাই লিটনের নেতৃত্বে তার লোকজন আগত মৎস্যজীবীদের টেন্ডার জমাদানে বাধা প্রদান করায় সংর্ঘষ হয়।এতে করে উপজেলা প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে টেন্ডার স্থগিত করেন এবং পূর্ণরায় টেন্ডর আহবান করা হবে মর্মে ঘোষনা করেন। কিন্তু স্থানীয় সাংসদ আলহাজ¦ প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধূরীর ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল-হাসান চৌধুরী লিটন উপজেলা প্রশাসনের যোগসাজসে পুকুর গুলি টেন্ডার ছাড়াই অবৈধ পন্থায় তাদের লোকজনের মাধ্যমে দখল করে দ্বী-গুন টাকায় সাব-লিজ দিয়েছে। ফলে প্রকৃত মৎস্যজীবী এবং সরকার কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ-সংক্রান্ত ইন্ডিপেন্ডেট টেলিভিশনের তালাশের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে লিটন চৌধুরী ও শাহিনুর রহমান শাহিন সহ বেশ কয়েকজনের নাম। তালাশের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে“সরকারী খাস পুকুর নিয়ে পুকুর চুরি”এব্যাপারে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের চৈতা হাওলাদারের ছেলে মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি শ্রী সম্ভু মাঝি সহ বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী সাক্ষাৎকার দেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুর রহমান মাষ্টার পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার অপরাধে এমপি’র ভাই লিটন চৌধুরীর নেতৃত্বে নানা অপকমের হোতা শাহিনুর রহমান শাহিন সহ ১০/১২জনের একটি সন্ত্রাসী দল গত বৃহস্পতিবার রাতে মৌসুমী হোটেলে আওয়ামী লীগ নেতাকে লাঞ্চিত করে এবং গত শনিবার সকাল ১১ টায় মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি শ্রী সম্ভু মাঝিকে নিজ বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশে নির্মম ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্ভু মাঝির উপর হামলাকারী লিটন চৌধুরী ও শাহীন সহ সকল হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মহিমাগঞ্জ মৎসজীবি সমিতির পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন করেন।