বগুড়ার নন্দীগ্রামে বাল্যবিয়ে করতে আসা বর ইউএনও’র গাড়ি দেখে ভোঁ দৌড় দিয়ে পালালো। এর ফলে বাল্যবিয়ে পন্ড হয়ে গেল। আর বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী।
সোমবার দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাটলাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের বাকাইকুড়ি গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে আলহাজ¦ উদ্দিন (২০) এর বিয়ে ঠিক হয়। সোমবার দুপুরে কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন সময় আচমকা বিয়ে বাড়িতে একদল পুলিশ নিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছা. শারমিন আখতার। নিমেষেই বদলে যায় বিয়ে বাড়ির চিত্র। এ সময় তাদের উপস্থিতি দেখে বর ও বর যাত্রীর লোকজন পালিয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন আখতার বলেন, বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন গোপন খবরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বরসহ অন্য লোকজন পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের বাবা-মা এই মর্মে মুচলেকা দেন যে মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তার বিয়ে দেবেন না। আবারও বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন জাহান বিউটি ও ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।