অভ্যান্তরিন কোন্দোলের জের ধরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অর্নিদৃষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন অর রশীদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষনা দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সোমবার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। সকাল ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে সভাপতি পদে ভোট নেয়া কথা ছিল। কিন্তু প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন অর রশীদ সোয়া ১১ টায় বিদ্যালয়ে আসেন। এর আগে সকাল থেকে সভাপতি পদে অংশ নেয়া সরদার নজরুল ইসলাম জাহাঙ্গী ও সাইদুর রহমান সেন্টুর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে সাইদুর রহমান সেন্টুর সমর্থক নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমানের মুখমন্ডলে এলোপাতাড়ি ভাবে ঘুষি মেরে তাকে আহত করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। আহত আনিসুর রহমান বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আহত আনিসুর রহমানের অভিযোগ নলছিটি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম শাহীন ও সরদার নজরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মিলে চেয়ার দিয়ে ও কিল ঘুষি মেরে তাকে মারধর করেছে। এ ব্যাপারে সরদার নজরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন,‘আমি এ নির্বাচনে জয়লাভ করব ভেবে আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন স্থগিত করেছে। আর হামলা বা মারধরের কোন ঘটনা এখানে ঘটে নি। নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘ নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন অর রশীদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমার কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছে। তিনি সময় মত স্কুলে আসেন নাই। তিনি সময় মত স্কুলে আসলে এঘটনা ঘটত না। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন অর রশীদ টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,‘ ১১ টায় আমার বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা ছিল আমি মাত্র ১৫ মিনিট দেরি করে এসেছি। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল ) এমএম মাহাম্মুদ হাসান বলেন,‘ সকাল থেকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পুলিশ মোতায়েন ছিল। যার ফলে তেমন কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এখানে ঘটে নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে জেলা পুলিশ সব সময় কাজ করছে।