ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের মীরের কাপাষহাটিয়ার গ্রামের লোকমান হোসেন খানের পুত্র শিশু আবু সাইদ (৭) হত্যা রহস্য উম্মোচিত করেছে মধুখালী থানা পুলিশ। গতকাল মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সাইফুল আলম শিশুটির সৎভাই শাওনকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে শাওন (১৮) ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এব্যপারে একই গ্রামের জব্দুলের ছেলে নাজমুল (২৩), রবিয়ালের ছেলে ছাব্বির (১৮) ও মিঠু মল্লিকের ছেলে তুহিন (১৮) কে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। একটি শষা ক্ষেতে নিয়ে ঘাতক সৎভাই শাওন শিশুটিকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেয় বলে পুলিশ জানায়। এ ব্যাপারে শিশুটির মা শাহানাজ বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থল উপজেলার মীরের কাপাষহাটিয়া বাজারে সিনিয়র এ এসপি (মধুখালী সার্কেল) মো. আনিসউজ্জামান লালন এলাকাবাসী ও সাংবাদিকের জানান ঘাতক সৎভাই শাওন তার স্বকিারোক্তিতে জানান ২১ অক্টোবর সোমবার বিকালে শিশু আবু সাইদ স্কুল থেকে ফেরার পথে শষা খাওয়া কথা বলে এবং সন্ধ্যার পর বাড়ী অদুরে একটি শষা ক্ষেতে নিয়ে যায় অন্ধকার নেমে আসায় অপেক্ষায় এদিক ওদিক ঘুরাতে থাকে। অন্ধকার নেমে আসলে ঘাতক শাওন তাকে কোলে বসিয়ে একটি শষা খাওয়ায় এবং গলাটিপে হত্যা করে রেললাইনের পাশে ডোবায় ফেলে যায়। ঘটনার বর্ননার সময় মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ২১ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটি নিখোজ হয় এবং তার পিতা লোকমান হোসেন খান ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার মধুখালী থানায একটি সাধারন ডায়েরী করে। এর ৪দিন পর ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেললাইনের মীরের কাপাষহাটিয়ার শিশুটি নিজ বাড়ীর থেকে একটু দুরে রেলের ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।