নীলফামারীর সৈয়দপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ে অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ অক্টোবর সৈয়দপুর পৌরসভার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্যানেল মেয়র-১ জিয়াউল হক জিয়া। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, ২০১০ সালে শহরের জিডিপিতে বস্তিবাসীদের অবদান ধরা হয়েছিলো ৯ শতাংশ। যা ২০২১ সালে ১৪ শতাংশে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহরের একদিকে যেমন আয় বৈষম্য বাড়ছে অন্যদিকে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে জনস্রােত। জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব থেকে বাঁচতে গ্রামের বহু ভূমিহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠি ক্রমাগত শহরে আসছে। শহরে এসে তারা দরিদ্র ঘোঁচাতে কর্মসংস্থান ও আর্থিক স্বচ্ছলতার সুযোগ খুঁজছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শহরবাসীর উপরে। প্রতিমাসে প্রচুর অর্থ দিয়ে যেখানে তাদের মাথা গোঁজার ঠাই হচ্ছে তা খুবই নিম্নমানের। সেখানে নিরাপত্তা, নিরাপদ পানি ও বিদ্যুতের যেমন কোন নিশ্চয়তা নেই, তেমনি নেই ময়লা আবর্জনা পরিস্কার এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। সেই সাথে নানা শিল্প ও মেডিকেল বর্জ্য তাদের জীবনকে করে তুলেছে অসহনীয়। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। তাই অসহায় ও অতিদরিদ্র ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে এ প্রকল্প নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের সাথে থেকে কাজ করবে সৈয়দপুর পৌরসভা। আমাদের লক্ষ্য দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশন ও ২৪টি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভায় বসবাসরত দরিদ্র ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা। পৌরসভাসহ এর আওতাভূক্ত শহরগুলোতে নানা উদ্ভাবনী পদক্ষেপের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে ইতোমধ্যে দেশের দুটি জেলায় কাজ শুরু হয়েছে। সভায় এছাড়াও বক্তব্য বলেন, প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম, কমিউনেকেশন কো-অর্ডিনেটর ফরিদ আহমেদ, সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাকির হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম এ করিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, নীলফামারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববিসহ অনেকে।