বগুড়ার শেরপুরে তুচ্ছ খেলার দ্বন্দে নিয়ে আশিক(৯)নামের শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে শেরপুর শহরের শাহবন্দেগী ইউনিয়নের যমুনাপাড়া গ্রামে।
সন্ধ্যাায় যমুনা পাড়া (বটতলা) এলাকার সুরুজ্জামানের বাড়ি থেকে আশিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সন্ধ্যায় এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত আশিক যমুনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, শিশু আশিক দুপুর থেকে বাড়ির পার্শ্বে খেলাধুলা করা অবস্থায় নিখোঁজ হয়। এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও আশিকের কোন খোঁজ পায়নি পরিবারের লোকজন।
আশিক নিখোজ হওয়ার পর সন্ধ্যার পর সন্ধ্যার পর এলাকার সুরুজ্জামানের বাড়ির লোকজনের আচরণ প্রতিবেশীদের কাছে সন্দেহজনক হয়। এতে আশিকের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুজি শুরু করলে খাটের নীচে বস্তা বন্দী আশিকের মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। এলাকাবাসী নিহতের নিথর দেহ বস্তা থেকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান,আশিক এর মৃত্যু প্রায় ৪ ঘন্টা পূর্বে হয়েছে। এ আগে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে শেরপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরুজ্জামান (৫০) তার স্ত্রী পারভীন বেগম (৪৫) ছেলে সোহাগ (২৬) এবং অপর ছেলে তুহিনকে (১৩) আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত শিশুর শরীর ও মাথায় বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরুজ্জামানের পরিবারের লোকজন হত্যার পর লাশ বস্তায় ভড়ে গুম করার চেষ্টার সময় তাদের আচরণ প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে তাদেও ঘরে গিয়ে বস্তা বন্দি লাশ দেখতে পায়।
এব্যাপারে শেরপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাগেছে সুরুজ্জামানের ছোট ছেলে সিয়াম বাবু ওরফে তুহিন খেলা নিয়ে দ্বন্দে মাতায় আঘাত করলে শিশুটির মৃত্যু হয়। এরপর পরিবারের লোকজন লাশ গুম করার চেষ্টা করে।