গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ খলসি দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি, সুপার, ও সহ-সুপারের বিরুদ্ধে মোটা অংকের ডোনেশন নিয়ে ভূয়া নিয়োগ দিয়ে প্রতারনা।
ভুক্তভোগী আমিরুল ইসলাম সহায় সম্বল হারিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়ে মানবেতর জীব-যাপন করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাখালবুরুজ ইউপি’র চকমাকড়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম বিগত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪সালে অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক পদে ১৫লক্ষ টাকা ডোনেশন প্রদান করে ভয়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভাতা না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিকট জানালে তারা নানা প্রকার তালবাহানা করে আসছে। এতে করে শিক্ষ আমিরুল ইসলামকে বিভিন্ন অযুহাতে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী সংগ্রহ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করলে ভূয়া প্রমাণিত হয়।
অপরদিকে ভয়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তা জানতে পারলে সভাপতি জেলহজ, সুপার আনোয়ারুল ইসলাম, সহ-সুপার মুজিবর রহমান শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় আবারও আমিরুলকে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করতে তথা(বিল ভাতা প্রদানের কাগজপত্র) পৌর শহরে এস এস কম্পিউটারের মালিক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের নিকট পৌছিয়ে দিলে সেখানেও ৭০,০০০/-(সত্তর হাজার)টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ করে দেয়। আবারো প্রতারনা স্বীকার হয়ে আমিরুল ইসলাম সর্বশান্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছেন। শিক্ষক আমিরুল ইসলাম জানান জমা-জমি বিক্রি করে চাকুরী পাওয়ার আশায় সর্বস্ব তাদের হাতে তুলে দিয়ে বর্তমানে ছেলে-মেয়ে, পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় মানবেতর জীবন-যাপন করছি।
উল্লেখ্য কলসি দাখিল মাদরাসার সভাপতি জেলহাজ সরকার,সুপার আনোয়ারুল ইসলাম ও সহ-সুপার মজিবুর রহমান যোগসাজসে ঐ মাদ্রাসাকে সামনে রেখে একইভাবে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বানিজ্য এবং ডোনেশন বানিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙুল ফলের কলাগাছ বনে গেছেন। অনেক ভুক্তভোগী মহল প্রতারণার স্বীকার হয়ে সর্বশান্ত হেেয়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সভাপতি, সুপার,সহ-সুপারের অনিয়ম দূনীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, প্রতারনা ও ঘুষ বানিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।