বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা কথা বলেন না। তিনি যা বলেন, তাই করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত শেখ হাসিনাও সবার। তার পাশে থাকা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় রংপুর টাউন হলে ১২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহায়তায় রংপুর নাট্যকেন্দ্র এ উৎসবের আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তার ডাকে সবাই এক হয়েছিল। আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পেয়েছি। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধে নেমেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদার আসনে প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতার লড়ছেন। তার এই যুদ্ধে আমাদেরও এক হতে হবে।’
একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গুণী নাট্যজন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মত উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখানো শেখ হাসিনাকেও ষড়যন্ত্রকারীরা শেষ করে দিতে চান। উনিশ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র হয়। তারপরও শেখ হাসিনা থেমে নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটা উন্নত দেশ উপহার দিতে চান। সেজন্য তিনি সমস্ত প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। ২০৪১ সালে এদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।’এসময় তিনি রংপুরসহ দেশের সকল সংস্কৃতিনুরাগী মানুষ সর্বস্তরের মানুষকে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধে শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহ্বান জানান।
নাট্যকেন্দ্র’র সভাপতি মাহবুবুল আলম খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল, ঢাকা) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. হামিদুল হক খন্দকার, নাট্যকেন্দ্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সফিউল হারুন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল, প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব বিপ্লব প্রসাদ।
স্বাগত বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও রংপুর নাট্যকেন্দ্র’র সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক মুরাদ। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল আলম রাজ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের উত্তরীয় ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
আলোচনা পর্ব শেষে নাট্যায়োজনে প্রথমে ভারতের নৃন্দমন্দিরের পরিবেশনায় আমি নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন সোমাগিরি। পরে ঢাকার লোকনাট্য দলের দর্শক নন্দিত নাটক কঞ্জুস পরিবেশনা করা হয়। তারিক আনাম খানের রুপান্তর ও লিয়াকত আলী লাকীর নিদের্শিত ৭২১তম মঞ্চায়ন।