কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের অষ্টগ্রামে জুয়াড়ী আটকের ঘটনায় বাড়ী থেকে ডেকে এনে ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আবুল বশরকে (৪৩) রোববার রাতে অষ্টগ্রাম মিয়ার বাজারে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে জুয়াড়ীরা। একই গ্রামের অহিদুর রহমান ও তার দু’ ছেলে ইয়াহিয়া খান ও জিয়া খান এ হামলা চালায়। আবুল বাশার ওই গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে। একমাস পূর্বে আবুল বশরের স্ত্রী ৪ কন্যাসন্তান রেখে মৃত্যু বরণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা আবুল বাশার স্থানীয় অষ্টগ্রাম মিয়া বাজারে ব্যবসায়ী ছিলেন। স্থানীয় প্রভাবশালী জুয়াড়ীরা তার দোকানে জোর পূর্বক প্রতিদিন জুড়ার আসর বসাতো। এ নিয়ে সে প্রতিবাদ করলে জুয়াড়ীরা তাকে ওই সময় মারধর করে। পরে আবুল বশর বাদী হয়ে আদালতে আষ্টগ্রামের জুয়াড়ী শাহজালাল, মাসুদ ও বাহাদুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার জেরে জুয়াড়ীদের হুমকি ধমকিতে আতঙ্কিত হয়ে নাঙ্গলকোট পৌর সদরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থান্তর করেন। গত রোববার রাতে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ওই বাজারে জুয়ার আসরে বসা জুয়াড়ীদের ধাওয়া করে ৭ জনকে আটক করে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর জুয়াড়ীদের লোকজন আবুল বাশারের মামলায় তাদেরকে ধরতে এসেছে দাবী করে তাকে বাড়ী থেকে ডেকে এনে প্রকাশ্যে বাজারে জনসম্মুখে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা আবুল বাশারকে রাতে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ইয়াহিয়া খান বলেন, আমার চাচার সাথে আবুল বাশারের লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। বাশার আমার চাচাকে ধরতে পুলিশ এনেছে সন্দেহে তাকে আমার পিতা হামলা করে।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ (তদন্ত) আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা আমরা শুনেছি। অভিযোগ ফেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।