আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তাতে তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। কিন্তু আমাদের দলের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশকারীর বিতর্কিত কর্মকা-ের কারণে এসব সাফল্য ম্লান হচ্ছে। তাই তিনি এই শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর যশোর সদর ও শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল করতে দলীয় নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও আইনগত দুইভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আর দলীয়ভাবে আমরাও অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর যশোর সদর ও শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল করতে তিনি বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত কাউন্সিলরদের তালিকা কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। সম্মেলনের দিন আমরা ওই তালিকা নিয়ে আসবো। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনার মাধ্যমে যদি সম্ভব না হয় তাহলে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল খালেক, মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেন, অ্যাডভোকেট জহুর আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলী রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, মীর জহুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন, ফারুক আহম্মেদ কচি, সুখেন মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, কাজী আবদুস সবুর হেলাল, ডা. এমএ বাশার, জিয়াউল হাসান হ্যাপি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী শহিদুল হক শাহিন প্রমুখ।