মোবারকগঞ্জ চিনি কলে এ বছর ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই লক্ষমাত্রা নিয়ে চাকা সচল হতে যাচ্ছে আগামী ৬ ডিসেম্বর হতে। ২০১৯/২০২০ অঅখ মাড়াই মৌসুমের এই মাড়াই লক্ষমাত্রা সামনে নিয়ে চিনিকলের কারখানা বিভাগের মোরামত ও সংস্কার কাজ চলছে অবিরাম গতিতে। এবছর মাড়াই মৌসুম শুরুর পর চিনিকর টিতে যাতে ঘনঘন যান্ত্রিক থ্রুটর কারণে ইক্ষু মাড়াই ব্যাহত না হয় সে জন্য মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রকৌশলী আনোয়ার কবির ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ কারখানার মোরামত কাজ তদারকি ও নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন। এবার মাড়াইকৃত ইক্ষু থেকে গড় চিনি আহরনের লক্সমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৮ শতাংশ। গত বছর মাড়াই মৌসুমে চিনি কলের গড় চিনি আহরনের পরিমান ছিল ৫.৬৮ শতাংশ। এবার মোবারকগঞ্জ চিনি কলটি ১০০ কার্যদিবস চলবে বলে কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন। এবার মোচিকের ৮ টি সাবজোনের অধিনে কৃষকদের ক্ষেতের আখের ফলন ভাল হবে বলে তারা আশা করছেন। এবছর অতিরিক্ত বর্ষা না হবার কারণে আখের ফলন ভাল হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে মাঠ পর্যায়ের কৃষকের জমিতে রোপনকৃত হালমুড়ি আখ ১১ হাজার একর উৎপাদন ও রোপনের লক্ষমাত্রা সামনে নিয়ে চিনি কলের কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা গত ১ সেপ্টেম্বর হতে এসটিপি চারা প্রদানের মধ্যদিয়ে আখ উৎপাদন কাজের শুভ সুচনা করেছেন। নির্ধারিত ১১ হাজার একর জমিতে আখ উৎপাদন লক্ষমার্ত্রার মধ্যে রয়েছে কৃষকদের লোনে ৫ হাজার ৩০৮ একর হাল এবং ৩ হাজার ৫শত একর মুড়ি আখ। বাকি লোন মুক্ত রয়েছে হাল আখ এক হাজার এবং মুড়ি আখ রয়েছে ৫ শত একর। মোচিকের ব্যবস্থাপক কৃশি গোলাম কবির নির্ধারিত আখ উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জনের আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, নানা কারণে চলতি রোপন মৌসুমে সদর দপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষমাত্রা অর্জন হবে। এজন্য আখ চাষিদের সাথে প্রতিনিয়ত উঠান বৈঠক,চাষি সভা,ব্যাক্তিগত যোগাযোগ সহ চাষিদের আখ রোপনের লোনের প্রাথমিক আবেদন পত্র ও চুক্তিপত্র সম্পাদনের কাজ সিংহ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া আখ চাষিদের মধ্যে বীজ, সারসহ অন্যান্য উপকরন বিতারন চলমান রয়েছে। মিলটির সিবিএ সভাপতি গোলাম রসুর বলেন, আসন্ন মাড়াই মৌসুমে আখ চাষিদের বিক্রিত আখের মুল্য এবছর সাথে সাথে প্রদান এবং বীজ ও সার সরবরাহ করা হবে। তিনি আর ও বলেন, মোচিকে আখ মাড়াই কালীন সময়ে যাতে চিনিকলটি ব্রেক ডাউন কম হয় সেজন্য কারখানার যন্ত্রাংশ ভালভাবে মেরামত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ইউনিয়নের দাবির কারণে মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি ইউনিট ও ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র গুলোতে সিআ্ইসি, সিডিএর শুন্য পদ পুরনের সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে মোচিকে আসন্ন মাড়াই ও আখ উৎপাদন কর্মসূচি হবে মূনীতি ও অনিয়মমুক্ত একটি রোল মডেল।