আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে অন্যের জমি জবর দখল করে ঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের দিঘলারআইট গ্রামের জহির জোয়ার্দ্দারের পুত্র সাহেব আলি চাকলাতেলীখালী মৌজায় ৩৯০ নং খতিয়ানে ৫১০৯ নং দাগে ১৭ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখলে আছেন। জমির সিএস খতিয়ানে তার দাদা ইউসুফ জোয়ার্দ্দারের নামে, এস এ খতিয়ানে তার পিতা জহির উদ্দিনের নামে এবং বর্তমানে প্রিন্ট পর্চায় তার নিজের নামে রেকর্ড হয়েছে। ওই জমিতে তারা ধান চাষ করে ভোগদখলে ছিলেন। ২০০৯ সালে আইলায় পাউবো’র ভেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে গেলে পরবর্তীতে ওই জমি পতিত অবস্থায় থাকে। তিনি ঢাকায় থাকার সুযোগে ওই পতিত জমিতে হামিদ খাঁর পুত্র আবিয়ার রহমান, মাহবুবর রহমান, তৈবুর রহমান ও মিজানুর রহমান অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে পর সম্পদ লাভে লোভের বশবর্তী হয়ে জমি জবর দখল করে ঘর বাধার প্রস্তুতি নেন। বাধা দিতে গেলে শোনেনি। গত ৭ নভেম্বর তারা সেখানে ঘর বাধার কাজ করাকালীন জমির মালিকরা বাধা দিতে গেলে চরম ভাবে হুকমী ধামকী দিয়ে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে তারা ঘরের কাজ লিন্টন পর্যন্ত শেষ করেছে। ওই ৫১০৯ দাগসহ পাশের ৫১০৪ দাগে বাদীর মৌখিক ভাবে ক্রয়কৃত জমি থেকেও তাদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করতে পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আশাশুনিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।