তাহিরপুর উপজেলা সদরে প্রতিদিন ২ থেকে ৩শ লিটার দেশীয় চোলাই মদ উৎপাদন করে এলাকার যুবসমাজকে দিন দিন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দি”েছ ছানা রবি দাস নামের এক চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী। উপজেলা সদরের সচেতন নাগরিকরা এমনটাই দাবি করছেন।
সেই সাথে আলোচনা উঠেছে প্রতিদিনই মদ উৎপাদন ও বিক্রয় করে এই চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ১ কোটি টাকা মুল্যের বিভিন্ন জায়গা সম্পত্তি ক্রয় করেছে।
এমন আলোচনার ভিত্তিতে বিষয়টি অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন সন্ধ্যার পরপরেই উপজেলার সদর বাজারের পাশে রতনশ্রী গ্রামের ছানা রবি দাসের বাড়িতে উঠতি বয়সের যুবক সহ বিভিন্ন বয়সের মাদকসেবীরা মদের আড্ডায় বসে।
বিভিন্ন সময়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যাবসায়ী ছানা রবি দাসকে মদ সহ গ্রেফতার করলেও কয়েকদিনের ভিতরেই জেল থেকে বেড়িয়ে পুনরায় মাদক ব্যাবসা শুরু করে সে।
ছানা রবি দাসের প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী বলেন,সকাল থেকেই শুরু হয় মদ তৈরীর প্রক্রিয়া। মদের গন্ধে আমরা যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে এলাকা ছাড়ার চিন্তা করছি। তাছাড়া সন্ধ্যার পরপরেই চলে মদের আড্ডা ফলে আমাদের ছোট ছোট সন্তানদের ভবিষ্যত অন্ধকারে ধাবিত হ”েছ। আমরা এর প্রতিকার চাই।
জায়গা সম্পদ ক্রয়ের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সের পাশে লক্ষীপুর গ্রামে প্রায় ১০লক্ষ টাকা দিয়ে ২০ ডিসিমিল জায়গা ক্রয় করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,এই জায়গার উপর দ্বিতল বিশিষ্ট বসত ঘর নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সেই সাথে পাশর্^বর্তী বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার জগন্নাথপুর বাজারে প্রায় ৩০লক্ষ টাকা মূল্যের আধাপাকা ২টি ভিট ক্রয় করেছে ছানা রবি দাস। জগন্নাথপুর বাজারের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনি”ছুক এক সুশীল ব্যাক্তি জানান,এই চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীর মদ তৈরীর কারখানা বন্ধ না করা হলে আমাদের যুব সমাজ দিন দিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। তাই খুব শীগ্রই এলাকাবাসীর পক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করব।
তাহিরপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান,ছানা রবি দাসের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে তাহিরপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত কিছুদিন পুর্বেও তাকে ১০ লিটার মদ সহ আটক করে মামলা নেয়া হয়েছে।