শেরপুরের শ্রীবরদীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল লামিয়া (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। শুক্রবার (৮ নভেম্বর ) সন্ধ্যায় উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের হালাগড়া গ্রামে লামিয়ার বিয়ের আয়োজন চলছিল। লামিয়া ওই এলাকার লাল মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় লামিয়ার বিয়ের প্রস্তুতির খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়ের বাবা-মা’কে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে অবগত করে ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মন্জুর আহসান, উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর একেএম মাসুদুর রহমান ও শ্রীবরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিয়ের কারণে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বাল্য বিয়ে বন্ধে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।