হাতে মেহেদীর কাঁচা রং। বিয়ের আমেজে বাড়ি ভর্তি আত্মীয়-স্বজন। বউ ভাতের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু মেহেদীর রং না শুকাতেই সাদা কাপড়ে জড়াতে হল সদ্য বিবাহিত যুবক মিজানুর রহমান (২১) কে। হই হুলরো আর আনন্দের পরিবর্তে এখন মিজানুরের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তবে বিয়েটাই কি কাল হল মিজানুর রহমানের! রোববার সকাল ৯টায় আত্রাই নদীর পার্শ্বের একটি জিগা গাছ থেকে রশিতে ঝুলানো অবস্থায় মিজানুর রহমানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত যুবক মিজানুর রহমান পৌর শহরের সোহাগবাড়ি গ্রামের কৃষক মোজা প্রামাণিকের ছেলে।
কেন মিজানুর রহমানকে প্রাণ দিতে হল? এমন অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। তবে নিহত মিজানুর রহমানের পরিবারের অভিযোগ তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মিজানুর রহমানের ভগ্নিপতি আল আমিন বলেন, শুক্রবার রাত ১২ টায় মিজানুর রহমানের পাশবর্তী মহেশচন্দ্রপুর গ্রামের আবদুল মজিদের মেয়ে মিনু খাতুনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। এই বিয়ের পর থেকেই একটি ফোন থেকে মিজানুর রহমানকে বার বার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। নববধূর সাথে অন্য কারো প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারণে মিজানুর কে হুমকি দেয়া হচ্ছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অপর ভগ্নিপতি জাকির হোসেন বলেন, রোববার ছেলের বাড়িতে বৌভাতের কথা ছিল। কিন্তু সকালে মিজানুর রহমানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসীরা। তবে বিয়ের আগে মেয়েকে ছেলের পক্ষের কারও সাথে কথা বলতে দেয়া হয়নি।
পৌর কাউন্সিলর আবদুল জলিল বলেন, মিজানুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এটা এলাকাবাসী ধারণা।
সিংড়া থানার ওসি তদন্ত নেয়ামুল আলম বলেন, এ বিষয়ে সিংড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর নববধূ মিনু খাতুনকে থানা হেফাজতে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে বিয়ের জন্যই যে এই ঘটনা ঘটেছে এটা এখন সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না।