ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা সদর হাজির হাট বাজার থেকে উত্তর পাশে উত্তর চরযতিন জামে মসজিদ সংলগ্ন পাকা সংযোগ বেড়ীবাধঁ সড়কটি ঘূর্নিঝড় “বুলবুল” এর প্রভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণীঝড়ের প্রভাবে মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ার বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে পাকা বেড়ীবাধঁ সড়কটির মাটি সরে যাচ্ছে। সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হলে বন্ধ হয়ে যাবে ২টি গ্রামের যোগাযোগ ব্যাবস্থা। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়বে ২টি গ্রামের কোমল মতি স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ ১০ শহ¯্রাধিক মানুষ।
ভাঙ্গনের কবলে পড়ে রাক্ষুসে মেঘনা ক্রমেই বেড়ীবাধঁ সংযোগ সড়কটির কাছাকাছি চলে আসে। কিন্তু গত কয়েকদিনের ঝড়-জলোচ্ছাসের কারণে মেঘনা আরও রাক্ষুসে রুপ নেয়। ঘূর্নিঝড় “বুলবুল” প্রভাবে বর্তমানে ভাঙ্গনের তীব্রতায় পাকা বেড়ীবাধঁ সংযোগ সড়কটির কাছাকাছি চলে এসেছে। পাকা সংযোগ সড়কটির নীচ থেকে মাটি সড়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে ১ সপ্তাহের মধ্যেই সংযোগ সড়কটি পুরোপুরি ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংযোগ সড়কটি ভেঙ্গে গেলে মেঘনার জোয়ারের পানি প্রবেশ করে চর যতিন ও সোনারচর গ্রাম প্লাবিত হবে। ২ গ্রামের ১০ সহ¯্রাধিক মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়বে। গ্রাম প্লাবিত হলে মানুষের বসতবাড়ী ডুবে যাবে। ভেসে যাবে পুকুরের মাছ ও নষ্ট হবে আমন ধানের ফসল।
প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়। সড়কটি বিচ্ছিন্ন হলে চরম দূর্ভোগে পড়বে ২টি গ্রামের হাজারো মানুষ। কোমল মতি শিক্ষার্থীদের যাতে পড়ালেখার কোন সমস্যা না হয় সেজন্য দ্রুত সড়কটি রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলে সড়কটি রক্ষা করার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান বলেন, এ বিষয় আমরা ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। চেষ্ঠা করছি দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে সড়কটি রক্ষা করার।