বন্ধ হয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা ফিরে পাওয়া ও তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু দাউদ মোল্যা। রোববার বিকেলে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া চৌরাস্তায় সংবাদ সম্মেলনে আবু দাউদ মোল্যা বলেন, এলাকায় হাসামদিয়া আজিজিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সম্মানী ভাতা বন্ধ করা এবং তার সনদ বাতিল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এজন্য প্রতিপক্ষের লোকজন গত ৬ নভেম্বর হাসামদিয়া চৌরাস্তায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে। তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন তার লাল মুক্তিবার্তা নম্বর-১০১০৮০২০২২৪ এবং সনদপত্র নম্বর-১৩২০১২। তিনি ২০০৯ সালের সনদপ্রাপ্ত হইয়া ২০১৩ সালে সম্মানী ভাতা পেতে শুরু করেন। ২০১৬ সালের যাচাই বাছাইতে তাকে ‘গ’ তালিকাভুক্ত করে পরবর্তীতে সম্মানী ভাতা বন্ধ করা হয়। নিয়মানুযায়ী তিনি জামুকায় আপিল করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তার সম্মানী ভাতা পুনরায় চালু করার আবেদন জানান। তিনি আরও বলেন, ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার ছিল লুটপাট করেছে তারাই উল্টো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আবু দাউদ মোল্যার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চতুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ মো. মঞ্জু, ইউপি সদস্য খন্দকার আসাদ, হাসামদিয়া ইউনাইটেড উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবদুস সাত্তার মোল্যা, সাবেক ইউপি সদস্য মো. সোহরাব মুন্সিসহ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।