শুক্রবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছর প্রায় ২৫ হাজার ৭শত ৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। বিশ^বিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাস ছাড়াও শহরের ১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা কেন্দ্রে এই পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই দফায় এ ও বি ইউনিটের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল ১০ টা থেকে ১২:৩০ মিঃ পর্যন্ত ইউনিটের পরিক্ষা ও বিকেল ৩টা মিঃ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বি ইউনিটের পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ইউনিটে ৫১৫টি আসনের জন্য পরিক্ষায় অংশ নেয় ১৩,৬৭৩জন ও বি ইউনিটের ৪০৫টি আসনের জন্য পরিক্ষা অংশ নেয় ১২,০৩২জন পরীক্ষার্থী। প্রতিটি আসনের জন্য তিনজন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এবারের ভর্তি পরীক্ষায়।
প্রতিটি কেন্দ্রে একজনকরে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসিনকি কর্মকর্তা পরীক্ষার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। সকাল ৯টা থেকে বিশ^বিদ্যালয়ে মূল ফটকে দুটি লাইন করে সারিবদ্ধ ভাবে সার্চ করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রের সিমানায় মধ্যে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। আর সারে ৯টার দিকে পরীকেন্দ্রের হল রুমগুলো খুলে দেয়া হয়।
পরীক্ষার সার্বিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী তিনি বলেন, এবারের পরীক্ষায় আমরা বার্তি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষা যাতে সুন্দর এবং সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা যেমন আমরা করেছি তেমনি ভাবে প্রশাসেনর সকল স্থরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এবারে বিশ^বিদ্যালয়ে সুনামের জন্য তারাও এগিয়ে এসছেন। আমি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক দলেরর নেতাকর্মীসহ সামাজিক সকল সংগঠনের নেতার্কর্মীদের এই আন্তরিক সহযোগিতা জন্য বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিচ্ছি। সকলের প্রচেষ্টায় এই বিশ^বিদ্যালয় অবশ্যই এগিয়ে যাবে।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসকসহ সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যক্তি উদ্দ্যেগে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থার আয়োজন করে।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আগত সকলের জন্য থাকা ও খাওয়ার জন্য শহরের পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছাকাছি ৪১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া শহরের বাস টারমিনাল এলাকা, রেলওয়ে স্টেশনসহ শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থানে বিলবোর্ড ও তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করে পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছে পাবনাবাসী। তবে এবারের অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা নিয়ে বশে খুশি অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা।