পাবনার আটঘরিয়ার মতিঝিল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রুপা খাতুনকে বেদম প্রহার করে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। আহত স্কুল ছাত্রীকে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা মিখ্ষা অফিস বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার তিন দিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বা শিক্ষা অফিস কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগে প্রকাশ।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের মতিঝিল উচ্চ বিদ্যালয়ের৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রুপা খাতুন গত ১১ নভেম্বর আনন্দ পাঠ নামের একটি বই স্কুলে না আনার অপরাধে বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: মাঞ্জুয়ারা খাতুন তাকে ডাসটার দিয়ে ঘারে ও পিঠে বেদম মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে ঐ ছাত্রী গুরুত্বর আহত হয়ে পড়লে বিদ্যালয়ে করণিক জামাল উদ্দিন তাকে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পার হলেও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক আহত ঐ ছাত্রীর কোন খোঁজ নেয়নি বলেও অভিযোগে প্রকাশ।
এদিকে এ ঘটনার পর স্কুল ছাত্রীর মা রেবেকা খাতুন ঘটনা তদন্তে আটঘরিয়া উপজেলা শিক্ষা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: মাঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, ঐ ছাত্রীকে ডাসটার দিয়ে সামান্য আঘাত করা হয়েছে। তবে এর বেশী কিছু বলতে তিনি রাজি নয়। তিনি বলেন, বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটি সুরাহা করবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মতিঝিল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছে যে ৬ষ্ঠ শেণীর ছাত্রী শিক্ষিকার মারপিটে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি হাসপাতালে আহত ছাত্রীর খোঁজ খবর নিয়েছেন কিনা উত্তরে তিনি বলেন তিনি স্কুলের কাজে ব্যবস্ত রয়েছেন। তবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধর করার কোন বিধান নাই। যদি তিনি এটি করে থাকেন তাহলে ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে মতিঝিল উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহায়মীন হোসেন চঞ্চল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, মেয়েটি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শুনেছি। তবে চিতিৎসার খরচ যদি পরিবার চায় তাহলে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বারবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।