পাবনার সুজানগরের একমাত্র কাচারীপাড়া স্টেডিয়াম গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখার অভাবে স্টেডিয়ামটি বেহাত হতে চলেছে।
জানা যায়, উপজেলার ক্রীড়া ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করার লক্ষে জাতীয় পার্টি সরকারের আমলে উপজেলার কাছারি পাড়ায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিশাল একটি স্টেডিয়াম। সেই সঙ্গে ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলায় ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য স্টেডিয়ামের পাশে নির্মাণ করা হয় একটি অফিস। সে সময় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ওই স্টেডিয়ামে সারা বছর ফুটবল, ভলিবল এবং হাডুডুসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা হতো। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই জানান, সে সময় স্থানীয় পর্যায়ের খেলাধুলার পাশাপাশি আয়োজন করা হত আন্তঃজেলা খেলাধুলা। ওই সব খেলা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার ক্রীড়ামোদী দর্শক এসে স্টেডিয়ামে ভীড় করতেন। তাছাড়া সরকারের মন্ত্রী এমপিসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ওই সব খেলা উদ্বোধন এবং উপভোগ করতে ছুটে আসতেন স্টেডিয়ামে। সবমিলিয়ে তখন স্টেডিয়ামটি ছিল জমজমাট খেলার আসর। কিন্তু কালের আবর্তনে ঐতিহ্যবাহী ওই স্টেডিয়ামে এখন আর খেলাধুলা হয়না। বিশেষ করে ৯০’র দশকের শেষের দিকে উপজেলা পর্যায়ে ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কিছু দিনের মধ্যে স্টেডিয়ামেরও কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান। প্রাক্তন কৃতী ফুটবল খেলোয়ার আবদুল আলীম যতীন জানান, দীর্ঘদিন খেলাধুলা না থাকায় স্টেডিয়ামটি বর্তমানে গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে কর্তৃপক্ষের দেখার অভাবে স্টেডিয়ামের আশপাশের বাড়ির লোকজন ইচ্ছামতো সেখানে গরু-ছাগল চড়ানোর পাশাপাশি কৃষিপণ্য শুকানোর কাজও করে থাকেন। সেই সঙ্গে অনেকে স্টেডিয়ামের জায়গা দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করায় স্টেডিয়ামটি বেহাত হতে চলেছে। পাশা-পাশি রক্ষাণা-বেক্ষণের অভাবে ধারাভাষ্য অফিসটিও ভেঙ্গে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। এলাকার সচেতন মহল স্টেডিয়ামটি রক্ষা তথা সংস্কারের মাধ্যমে খেলার উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথ বলেন সরকারি নিয়ম মেনে স্টেডিয়ামটি রক্ষণা-বেক্ষণের পাশাপাশি খেলাধুলার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।