সরকার ঘোষিত নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে কোন প্রকার অন্যায় হয়রানী করা হবে প্রশাসনের এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২৪ ঘন্টা পর রোববার সকাল থেকে বগুড়া থেকে সড়ক পথে সকল বাস চলাচল আবারো চালু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাস ট্রার্মিন্যালে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক সমঝোতা বৈঠকের প্রায় ১২ঘন্টা পর রোববার সকাল ৮টার পরে থেকে বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে শনিবার বিকাল থেকে পুলিশ প্রশাসনের সাথে কয়েক দফা অনুষ্ঠিত বেঠকে মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আবারো শর্ত জুড়ে দেয় যে, আগামী ২২ নভেম্বরের পর শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে শিথিল করা না হলে আবারো তারা স্ব ইচ্ছায় গাড়ী চালানো বন্ধ করে দেবেন।
অন্যদিকে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সমঝোতা বৈঠকের পর অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে থাকা শ্রমিকরা আবারো কাজে যোগদান করায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। সকল রাস্তায় গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ(ওসি সার্বিক) এসএম বদিউজ্জামান এবং বগুড়া ট্রাফিক ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (টিআই) রেজা বলেন, গাড়ী চলাচলের ক্ষেত্রে ইত্বমধ্যই যে সব চালকরা লাইসেন্স নবায়ন এবং বিবিধ কারণে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অতিরিটি( বিআরটিএ)এ কার্যলয়ে তাদের অনূকুলে জমা দিয়েছেন বা দিচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য বলা হয়েছে যে, তারা যেন ঝামেলা এড়াতে জমা করা কাগজ পত্রের ফটো কপি সাঙ্গে রাখেন এবং প্রয়োজনে বিআরটিএর সকল প্রকার রিসিভ কপির ফটো কপি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রদর্শন করে সহায়তা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য ,শনিবার সকাল থেকে পূর্ব কোন ঘোষনা ছাড়াই বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা প্রায় সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। সরকার ঘোষিত নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইন বাতিল ও পূনঃ বিবেচনার জন্য এই অঘোষিত পরিবহন অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করে।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের আকস্মিক এবং পূর্ব ঘোষনা ছাড়া পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সড়কপথে সব ধরনের সকল বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী।